আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। তাওয়ানের তাইনান শহরে ভূমিকম্পে ধসে পড়া একটি বহুতল আবাসিক ভবনে এখনো মোট ১৩২ জন আটকা পড়ে রয়েছেন। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, আটকা পড়াদের মধ্যে ২৯ জনের কাছে শিগগিরই পৌঁছাতে পারবেন তারা। বাকিরা ধসে পড়া ১৭তলা ভবনের ধ্বংসাবশেষের গভীরে রয়েছে। তাই তাদের ব্যাপারে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। আটকেপড়া ব্যক্তিরা জীবিত আছে কিনা সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। শনিবার ভোরে ৫ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে ১৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকার। পাশাপাশি ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে ৩৫০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গোল্ডেন ড্রাগন নামের ১৭ তলার ভবনটি ছাড়া তাইনান শহরের বেশকিছু আবাসিক এলাকা ভূমিকম্পে ধসে ও হেলে পড়ে। নিহতদের মধ্যে একজন সদ্যজাত শিশু রয়েছে। প্রায় ৫০০ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯২ জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আটকা পড়া লোকদের যতদ্রুত সম্ভব উদ্ধার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট মা ইয়িং জিওইউ। উচ্চপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষিত কুকুরের সাহায্য ৮০০ বেশি সেনা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। বিবিসি জানিয়েছে, টিভির ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে- গোল্ডেন ড্রাগনে আটকা পড়া লোকদের উদ্ধার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারীরা। মই দিয়ে তারা ধসে পড়া ভবনের ওপরে উঠার চেষ্টা করছেন। এখন পর্যন্ত ভবনটি থেকে দুই শতাধিক লোককে উদ্ধার করতে পেরেছেন তারা। কিন্তু এদের মধ্যে এক শিশু, কিশোরী ও দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষসহ ১২ জন মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এর আগে বিবিসির খবরে বলা হয়েছিল, ওই ভবনে ৬০টি পরিবারের প্রায় ৩০০ লোক বাস করতেন।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভবনটি নির্মাণের সময় প্রয়োজনীয় নিয়মনীতি মেনে চলা হয়েছে কিনা, তা তদন্তকারীরা অনুসন্ধান করবে।
দেশটিতে ১৯৯৯ সালের পর এটিই সবচেয়ে বড় ধরনের ভূমিকম্প। ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে প্রায় তিন হাজার লোক নিহত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা বলছে, এবারের ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ দশমিক ৪ হলেও এর উৎপত্তিস্থলের গভীরতা কম হওয়ায় ভূকম্পনের মাত্রা ছিল বেশি।