ওবামার জলবায়ু পরিকল্পনা আটকে দিল সুপ্রিম কোর্ট

usআন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে কার্বন নির্গমন নিয়ন্ত্রণ করতে ওবামা যে জলবায়ু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন তা আটকে দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আইনগত চ্যালেঞ্জের বিষয়টি সুরাহা না করার পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের ‘ক্লিন পাওয়ার প্ল্যান’ এগিয়ে নেওয়া যাবে না। ওই পরিকল্পায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের মাত্রা বাড়িয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন ডাই-অক্সাইডের নির্গমন ৩২ শতাংশে নামিয়ে আনা। গতডিসেম্বরে প্যারিসে জাতিসংঘের জলবায়ু চুক্তির কিছু মূল অংশ নিয়ে ওই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন ওবামা। যদিও কার্বন কমানোর লক্ষ্য এই প্রস্তাবটি গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছিল ওবামা প্রশাসন।
কিন্তু ওবামা প্রশাসনের ওই প্রস্তাব আটকে দিতে আদালতের দ্বারস্থ হয় ২৭টি অঙ্গরাজ্যের কয়লা খনিশ্রমিক ও এর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও সংগঠনের একটি গ্রুপ। তাদের দাবি, ওবামার প্রস্তাব অঙ্গরাজ্যগুলোর অধিকার লঙ্ঘনের শামিল। আদালতে ওবামার প্রস্তাবের বিপক্ষে পাঁটটি ভোট ও পক্ষে চারটি ভোট পড়ে। আদালতের এমন সিদ্ধান্তের পর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জোশ আর্নেস্ট বলেছেন, মামলার ফলাফল না আসা পর্যন্ত ক্লিন পাওয়ার প্ল্যান কার্যক্রম স্থগিত রাখার আদালতের সিদ্ধান্তে আমরা ভিন্নমত প্রকাশ করছি। তিনি বলেন, ‘ক্লিন পাওয়ার প্ল্যান একটি শক্তিশালী আইনগত ও প্রযুক্তির ভিত্তির ওপর রচিত। কার্বন নির্গমন কমাতে এটার সঙ্গে মানানসই বিদ্যুৎকেন্দ্র উন্নয়ন ও ব্যয় পরিকল্পনায় যে সময় ও সুবিধার প্রায়োজন ছিল অঙ্গরাজ্যগুলোকে তা দেওয়া হয়। ভালো বায়ুব্যবস্থা, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি, নিরাপদ বা পরিচ্ছন্ন শক্তিতে বিনিযোগ ও দেশজুড়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে আমরা এ পরিকল্পনা গ্রহণ করি। এছাড়া পরিকল্পনা মূল উদ্দেশ্যে ছিল- জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি থেকে দেশকে রক্ষা করা।’ ‘আমাদের আত্মবিশ্বাস রয়েছে যে, আমরা এ ব্যাপারে সফল হব’, বলেন আর্নেস্ট। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের ৫১টি অঙ্গরাজ্যের প্রায় সবগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্র কয়লাচালিত। এতে প্রচুর কার্বন গ্যাস নির্গমন করে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে এসব নির্গত কার্বন দায়ী। বিশ্বে বেশিরভাগ কার্বন নির্গত হয়ে থাকে শিল্পোন্নত দেশগুলো থেকে। আর সেই প্রভাব পড়ে অন্য দেশগুলোর ওপর। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের মুখে রয়েছে।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*