গোপাল সিং, খোয়াই, ১০ ফেব্রুয়ারী ।। মঙ্গলবার সকালেই খোয়াই থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল বহু গাঁজা ও বিলেতি মদ। সেই সাথে কোরাক্সও। পুলিশ জালে তুলতে সক্ষম হয়েছিল নেশার অবৈধ কারবারীকেও। কিন্তু খোয়াই থানার এস আই রঞ্জিত দেববর্মার নেতৃত্বে এই বিশাল সাফল্য হাত লাগলেও খোয়াই থানার ওসি নারায়ন চক্রবর্তী মদ উদ্ধারের ঘটনা মিডিয়া কর্মীদের জানালেও গাঁজা উদ্ধারের বিষয়টি বগল দাবা করে নেন। বহুমূল্য গাঁজার পেকেট লোপাটের অভিযোগ উঠছে খোয়াই থানার ওসি’র বিরুদ্ধে। এদিকে ধৃত দীপঙ্কর দাসকে শুধু মদের বোতল দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।যদিও বিষয়টি এসপি রতিরঞ্জন দেবনাথের গোচরে এলে ওসি’র টনক নড়ে। যদিও ধৃত দীপঙ্কর দাসকে 20 B of NDPS ধারায় আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাকে ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডে পাঠায়। পুলিশি জেরায় ধৃত দীপঙ্কর জানায়, উদ্ধারকৃত মদ ও নেশা সামগ্রীর বোতল তার নয়। এর মালিক লালটিলার গৌতম দাস। তিনি পেশায় মাছ ব্যবসায়ী। যদিও পুলিশের একটি সূত্র বলছে, দীপঙ্কর দাস বিগত ২ মাস যাবত থানায় প্রণামী দিচ্ছিলনা। তাই তাকে আটক করা হয়।সে দীর্ঘ দিন যাবত এই ব্যবসায় জড়িত।
কিন্তু গাঁজা লোপাট করে ওসি সাহেব বিষয়টিকে গুলিয়ে ফেলেছেন। কারন গাঁজার কেইস নাকি ঝামেলাযুক্ত। তাই ওসি সাহেব গাঁজা উদ্ধারের বিষয়টি চেপে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে গুঞ্জন রয়েছে দুই কেজি গাঁজার বাজার মূল্য অনেক টাকা। ধৃত যুবককে গাঁজার মামলা থেকে রক্ষা করে কিছু কামাইয়ের জন্য ওসি সাহেব গাঁজা লোপাটের চেষ্টা করেন নি তো !