দেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ১৬ ফেব্রুয়ারী ।। বহিস্কারের কোপে পড়ে মনোরঞ্জন আচার্য্যকে দলের বাইরে থেকেই দেখতে হয়েছে অকাল ভোটে তার জায়গায় CPI(M) প্রার্থী পরিমল দেবনাথের জয়ের কাহিনী। ১৩ই ফেব্রুয়ারীর ভোটে ৮৮.৮৭ শতাংশ ভোট পড়েছিল, প্রত্যাশিত ছিল পরিমল দেবনাথের জয় কিন্তু প্রশ্নও ছিল এই ভোটে। মনোরঞ্জন আচার্য্যকে বহিস্কারের প্রভাব ভোটে পরে কিনা – সেই হিসেব হিসেব ইতিমধ্যেই সেরে নিচ্ছেন বামদলের নেতৃবৃন্দ। দ্বিতীয়ত রাজ্যে কংগ্রেসের ভাবমূর্তি কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে সেই দিকেও লক্ষ্য ছিল ভোট বিশেষজ্ঞদের। বিশেষ দৃষ্টি IPFT–র প্রাপ্ত ভোট এবং BJP-র বিশ্বস্ততায় মানুষের প্রবনতার প্রশ্ন। সন্দেহাতীত ভাবেই এই জয়ে বামনেতৃত্ব স্বস্তিতে কারন সংগঠনের শেকড় খুব একটা নড়চড় হয়নি। তবে বামনেতৃত্ব নিশ্চিৎভাবেই উদ্বিগ্ন হবেন বিজেপি’র দ্বিতীয়স্থান দখল করা নিয়ে। তেমনিভাবে IPFT-ও ভোটের ফলাফলে আসন্ন ADC-র ভিলেজ কমিটির নির্বাচনের আগে ইতিবাচক সাড়া ফেলতে ব্যর্থ হয়েছেন। অমরপুরে অকাল ভোটে CPI(M) প্রার্থী পরিমল দেবনাথের জয়ে শুরু হয়েছে লাল আবিরে সমর্থকদের উচ্ছ্বাস। ভোটের গতিপ্রকৃতির বিচারে বিজেপি’র রাজ্য কর্মকর্তারা অবশ্যই আশাম্বিত হবেন। ADC-র ভিলেজ কমিটির নির্বাচনের পরীক্ষায় দ্বিগুন উৎসাহে ঝাঁপিয়ে পড়বে বিজেপি বলাই বাহুল্য। পশ্চিমবঙ্গে যখন কংগ্রেস ও CPI(M) হাত ধরে ভোট যুদ্ধে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন রাজ্যে কংগ্রেসের অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় – সেদিকে ঈগলের দৃষ্টিতে তাকিয়ে রাজ্যের ভোট বিশেষজ্ঞ থেকে সাধারন মানুষ।