দেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ২৭ ফেব্রুয়ারী ।। সদ্য সমাপ্ত ADC-র ভিলেজ কমিটির ভোটেও বামফ্রন্টের একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম রয়েছে। মূখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে তাবড় বাম নেতারা পাহাড়ের ভোটে প্রচারের হাতিয়ার করেছিল ঐক্য, শান্তি আর উন্নয়নকে – তবে প্রচারের নিশানার গতিমুখে কখনো দেশ আবার কখনো রাজ্যের কথা উঠে এসেছে। আপামর রাজ্যবাসী তাকিয়ে ছিলেন IPFT-র উত্থান কতদূর হয় সেদিকে পাশাপাশি রাজ্য কংগ্রেসের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কত নম্বরে নাম উঠে সে নিয়ে ছিল রাজনৈতিক মহলের বিশেষ দৃষ্টি। তিপ্রাল্যান্ডকে সামনে রেখে IPFT পাহাড়ের জমি দখলের স্বপ্ন আর বাস্তবতার হিসেব কষা শুরু হয়েছে নিভৃতে। INPT-র ভোট প্রাপ্তি জানান দিচ্ছে সাংগঠনিক দুর্বলতা। অন্যদিকে সাম্প্রতিক সময়ে BJP-র রাজনীতিতে ক্রমবর্ধমান ভোট সংখ্যার নিরিখে পাহাড়ে গেরুয়ার বিস্তৃতির আপাত পরিনতির দৃশ্যে আগামীর অংক শুরু হবে বলাই বাহুল্য। যদিও ছোট মাপের ভোট তার সঙ্গেও যুক্ত ছিল বামফ্রন্টের বিকল্পের বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার সম্পৃক্ততা প্রচারে বলেছেন নেতৃবৃন্দ – ADC-র ভোট নিয়ে দেনা পাওনার চূড়ান্ত ফলাফলে ইতিমধ্যেই বামফ্রন্ট সংগঠনের ভিত্তি ও জনমতের চুলচেরা হিসেব নিকেশ করা শুরু করেছেন। জয়ের আনন্দে পাহাড়ের বুকে বাতাসে ভাসছে লাল আবির সঙ্গে সমর্থকদের উচ্ছ্বাস। ভোট আসে ভোট যায় জীবন যাদের কাছে এখনো যন্ত্রনার নামান্তর শুরু হোক দুঃখ বিমোচনের পর্ব।