তথ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক ।। তিয়ানঝৌ-১’র পর মহাকাশে পৃথিবীর কক্ষপথে চীন দ্বিতীয় গবেষণাগার তিয়াঙ্গং-২ নির্মাণ করতে যাচ্ছে এ বছরের শেষ দিকে। মহাকাশে রাশিয়ার গবেষণা কেন্দ্র মিরকে টেক্কা দিতে মানববাহী মহাকাশ স্টেশন নির্মাণে চীনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নির্মিত হবে তিয়াঙ্গং-২। একই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শেনঝেউ-১১ মহাকাশযান মহাকাশে পাঠাতে প্রস্তুতি নেয়াও শুরু করবে চীন। মহাকাশযানটির মাধ্যমে দু’জন নভোচারীকে তিয়াঙ্গং-২-এ পাঠানো হবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার যৌথ পরিচালিত মিরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ২০২২ সালের মধ্যে মহাকাশে একক পরিচালনায় নিজস্ব স্টেশন নির্মাণেরও পরিকল্পনা রয়েছে চীনের। চীনের হাইনান প্রদেশে ওয়েনচ্যাং উপগ্রহ উড্ডয়ন কেন্দ্রে প্রথম পরীক্ষামূলক কর্মসূচির পর পরবর্তী প্রজন্মের লং মার্চ-৭ মহাকাশযান দেশটির প্রথম পণ্যবাহী যান হিসেবে তিয়ানঝৌ-১ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। ভারী পণ্যবাহী যানটি ২০১৭ সালের প্রথমার্ধ্বে মহাকাশে নির্দিষ্ট গন্তব্যে গিয়ে পৌঁছাবে এবং তিয়াঙ্গং-২ নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করবে। একই সময়ে প্রয়োজন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজও অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানিয়েছে চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, কয়েক হাজার কোটি ডলারের এ মহাকাশ কর্মসূচির কাজ ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগোচ্ছে। শেনঝৌ-১১-তে চড়তে নভোচারীরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। মহাকাশ স্টেশনটি তিনটি অংশে বিভক্ত থাকবে এবং প্রতিটি অংশের ওজন প্রায় ২০ টন করে হবে।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে চীনের প্রথম মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে তিয়াঙ্গং-১ কক্ষপথে স্থাপিত হয়েছে।