প্যারিস, ০৩ অক্টোবর ।। এ এক অদ্ভূত মনোবিকার! নিজের মারণ রোগ অন্যের দেহে ছড়ানো। আর এই অপরাধে এক ব্যক্তির ১২ বছরের কারাদণ্ড দিল ফ্রান্সের একটি আদালত। ৪০ বছরের ওই ব্যক্তি জেনে বুঝে অন্যদের দেহে এইচআইভি-র সংক্রমণ ঘটিয়েছেন।
২০০৫-এ এই একই অপরাধে ৪০ বছরের ক্রিস্টোফে মোরাটের ছয় বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। কিন্তু তাতেও এতটুকু পাল্টায়নি স্বভাব। এবার এক মহিলার দেহে সংক্রমণ ছড়ানো এবং আরও পাঁচজনকে একই আশঙ্কার মধ্য ফেলে দেওয়ার জন্য কারাদণ্ড দিল আদালত।
সরকারি আইনজীবী আদালতে মোরাটের বদ উদ্দেশ্য সম্বন্ধে একাধিক ঘটনা শুনিয়েছেন। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই মোরাট শিকার খুঁজত।
মোরাট অবশ্য আদালতে এইডস-এর খাঁড়া মাথায় ঝুলতে থাকা মহিলাদের কাছে করজোড়ে ক্ষমাভিক্ষা করেছে। আর তা করতে গিয়ে অনেক সময় কেঁদেওছে। আইনজীবী জানিয়েছেন, নিজের আকর্ষণী শক্তি কাজে লাগিয়ে মোরাট মহিলাদের ফাঁদে ফেলত। বিচারের সময় মোরাট বলে, আমি মিথ্যা বলছি না। আমি সত্যিটাই বলছি। যৌনসংসর্গের সময় কনডোম ব্যবহার না করার জন্য সে ক্ষমা চেয়েছে। মোরাট আরও বলেছে, আমি যে সংক্রামক রোগের শিকার তা কখনই যৌনসঙ্গীদের কাছে স্বীকার করিনি।
যে ৪৩ বছরের মহিলা মোরাটের কাছ থেকে সংক্রমণের শিকার হয়েছেন তিনি আদালতে জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির প্রভাবাধীন হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর মনে হয়েছিল, মোরাট তাঁকে ঠকাচ্ছে। আর এরপরই তিনি মোরাট সম্পর্কে ইন্টারনেটে খোঁজখবর করতে শুরু করেন।তখনই তাঁর কাছে সব স্পষ্ট হয়ে যায়।
সৌজন্যে এবিপি নিউজ।