খেলাধুলা ডেস্ক ।। এশিয়া কাপের ফাইনালে রোববার বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে ভারত। তার আগে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ওয়ার্মআপটা ভালোভাবেই সারলেন শিখর ধাওয়ান-বিরাট কোহলিরা। টস হেরে বল করতে নেমে আমিরাতকে ৮১ রানের বেশি তুলতে দেয়নি ভারত। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে এই রান তোলে আমিরাত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ১০.১ ওভারেই ৮২ রান টপকায় ভারত। এতে ৯ উইকেটের জয় পায় মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। আমিরাতের ছুঁড়ে দেয়া ৮২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ওপেনার শিখর ধাওয়না এবং রোহিত শর্মা। ওপেনিং জুটিতে এই দুজনে তোলেন ৪৩ রান। তবে পঞ্চম ওভারে এসে কাদিরের বলে মোহাম্মদ নাভিদের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন রোহিত। আউট হওয়ার আগে ২৮ বল খেলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এরপর বাকি কাজটুকু সারেন ধাওয়ান এবং যুবরাজ সিং। ৪.২ ওভারে এই জুটি দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ৩৯ রান। ফলে ৫৯ বল বাকি থাকতেই ৯ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নেয় ভারত। ধাওয়ান খেলেন ২০ বলে অপরাজিত ১৬ রানের ইনিংস। আর যুবরাজ অপরাজিত থাকেন ১৪ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলে। আমিরাতের হয়ে একটি উইকেট তুলে নিয়েছেন কাদির আহমেদ। এর আগে, বৃহস্পতিবারের মিরপুরের হোম অব ক্রিকেট শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আমিরাত অধিনায়ক আমজাদ জাভেদ। তবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে মধ্যপ্রাচ্যের দলটি। এবারের এশিয়া কাপে আগের তিনটি ম্যাচে সুযোগ পাননি ভুবেনেশ্বর কুমার। তবে আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচটিতে সুযোগ পেয়েই নিজের দ্বিতীয় এবং দলীয় তৃতীয় ওভারেই ওপেনার স্বপ্নিল পাতিলের (১) উইকেট তুলে নেন এই ডানহাতি পেসার। দলের স্কোর তখন ১ উইকেট হারিয়ে ১ রান। দলীয় চতুর্থ ওভারে এসে মোহাম্মদ শাহজাদকে ফেরান জাসপ্রিত ভুমরা। স্লিপে সুরেশ রায়নার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ডানহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। আমিরাতের দলীয় স্কোর তখন ২ উইকেট হারিয়ে ২ রান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এসে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন রোহান মুস্তফা এবং শাইমান আনোয়ার। ২৩ রানের জুটিও গড়েন তারা। নবম ওভারে এসে মুস্তাফাকে ফেরান হার্দিক পান্ডে। ২২ বল খেলে এই ওপেনার করেন ১১ রান। এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ উসমান এবং আনোয়ার মিলে ২৬ রানের আরো একটি জুটি গড়েন। ভারতের জার্সি গায়ে বৃহস্পতিবারই অভিষেক হওয়া পবন নেগি তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলেই হরভজন সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন উসমান। আমিরাতের দলীয় স্কোর তখন ১৩ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৫১ রান। সেখান থেকে দলীয় ১৫ রান যোগ করতেই নেই আমিরাতের আরো তিন ব্যাটসম্যান। একেএকে ফিরে যান আমিরাত অধিনায়ক আমজাদ জাভেদকে (০), মুহাম্মদ কালিম (২) এবং ফাহাদ তারিক(৩)। তাতেই ১৭ ওভার শেষে আমিরাতের দলীয় স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেট হারিয়ে ৬৬ রান। সেখান থেকে অবশ্য অষ্টম উইকেটে ১৪ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ নাভিদ এবং আনোয়ার। তবে শেষ ওভারে এসে দলীয় ৮০ রানে নাভিদকে ফেরান ভুবেনশ্বর (৫)। একই ওভারের পঞ্চম বলে এসে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন আনোয়ার। দলের সবাই যখন আসা যাওয়াতে ব্যস্ত তখন তিনি খেলেন ৪৮ বলে ৪৩ রানের একটি ইনিংস। তাতেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৮১ রান তোলে আমিরাত। ভারতের হয়ে দুটি উইকেট তুলে নিয়েছেন ভুবেনশ্বর কুমার। আর একটি করে উইকেট নিয়েছেন জাসপ্রিত ভুমরা, হার্দিক পান্ডে, হরভজন সিং, পবন নেগি এবং যুবরাজ সিং।