জাতীয় ডেস্ক ।। ভারত পাকিস্তান সীমান্তে সর্বক্ষণ থাকে কড়া প্রহরা থাকে। কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ হয় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের বেড়াজাল আরো সুরক্ষিত করার জন্যে। রাতে সেই বেড়াজালে আলো জ্বলে যা মহাকাশ থেকেও দেখা যায়। এই সবই করা পাকিস্তান থেকে আসা উগ্রপন্থীদের আটকানোর জন্যে। কিন্তু ভারতের বজ্র আঁটুনি উপেক্ষা করে নিত্য নতুন উপায় বের করে পাকিস্তানের উগ্রপন্থীরা এদেশে ঢোকার জন্যে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়। সম্প্রতি জম্মু অঞ্চলে ৩০ মিটার লম্বা একটি সুড়ঙ্গের খোঁজ পাওয়া গেছে। এই সুড়ঙ্গটি পাকিস্তান থেকে ভারতের দিকে তৈরি করা হয়েছে। শুক্রবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই সুড়ঙ্গটি বানানো হয়েছিল যাতে জম্মুর ভিতরে সশস্ত্র উগ্রপন্থী ঢোকানো যায়। জম্মু ফ্রন্টিয়ারের বিএসএফ-এর ইন্সপেক্টর জেনারেল রাকেশ শর্মা জানিয়েছেন, মাসিক ক্লিয়ারিং করার সময়েই নজরে আসে এই সুড়ঙ্গটি। যেমন তেমন সুড়ঙ্গ নয়, রীতিমতো জেসিবি মেশিনের সাহায্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল এই সুড়ঙ্গটি। আইজি রাকেশ শর্মা জানান, সময় মতো এই সুড়ঙ্গের হদিশ না পাওয়া গেলে পাকিস্তান সফল হত ভারতের ভিতর উগ্রপন্থী পাঠানোয়। তিনি আরো জানান, বেড়াজালের আসপাশের ঘাস কাটা নিয়ে বিস্তর আপত্তি এসেছিল পাকিস্তানের পক্ষ থেকে। কিন্তু তাদের আপত্তি উপেক্ষা করে যখন বিএসএফ এই ঘাস কাটার কাজ শুরু করে, তখনই নজরে পড়ে ৩০ মিটার লম্বা এই সুড়ঙ্গ। মাটি থেকে ১০ ফুট গভীরে তৈরি করা হয়েছিল এই সুড়ঙ্গ। তবে এই সুড়ঙ্গ বানানোর কাজ সম্পর্ণ করতে পারেনি পাকিস্তান।
উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত পাকিস্তান থেকে জম্মু কাশ্মীর সীমান্তে এই নিয়ে ৪টি গুপ্ত সুড়ঙ্গের হদিস পেল ভারতীয় সেনাবাহিনীl সীমান্তে একটি রুটিন তল্লাশি চালানোর সময় ওই সুড়ঙ্গটি চোখে পড়ে l তারপরই সেটির মূল পথ খোঁজা শুরু হয়l অবশেষে জানা যায়, ওই সুড়ঙ্গটি পাকিস্তান সীমান্ত থেকে খোঁড়া হয়েছেl