দেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ০৭ মার্চ ।। পৌরানিক কাহিনীতে দেবাদিদেব মহাদেব বন্দনায় বলা হয়েছে তিনি হচ্ছেন সৃষ্টির উৎস আবার বিনাশের প্রতীক, তাঁর ইচ্ছেতেই চলছে আদি অন্তের সব ধটনা। জীবের কল্যানে সদা সর্বদা বর্ষিত হচ্ছে সৃষ্টি কর্তার আশীর্বাদ, শিব অল্পতেই তুষ্ট হয়ে থাকেন শুদ্ধ চিত্তে ‘ওঁ নমঃ শিবায়ঃ’ মন্ত্রেই মোক্ষলাভ হয় ভক্ত কূলের। ভক্তের বিশ্বাসেই ভগবানের অস্তিত্ব – মহা শিবরাত্রির পূন্য দিবসে ভগবান আর ভক্তের চিরায়ত সেই বিশ্বাস যে স্বমহিমায় বিরাজমান সত্যম শিবম সুন্দরমের দৃশ্যেই প্রস্ফুটিত। যেখানেই শিব সেখানেই শিব ভক্তের প্রার্থনার থালি হাতে দীর্ঘ লাইন।
ধর্মীয় উপাখ্যান অনুযায়ী শিবরাত্রিতে স্বামী সন্তান পরিবারের সুখ শান্তির জন্য যে নারী উপবাস পলনে শিব আরাধনায় দুধ আর বিল্বপত্রের পুস্পাঞ্জলীতে তাঁকে তুষ্ট করবেন – দেবাদিদেব মহাদেবের আশীর্বাদে দূর হবে জীবনের অমাবস্যা। শিবরাত্রির পবিত্র দিনে সূচী শূদ্ধ বস্ত্র পরিধানে সাধ্বী নারী দুধ, পবিত্র জল আর বিল্বপত্রে দেবাদিদেবকে কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা জানাচ্ছেন সিঁথির সিঁদূর যেন থাকে অক্ষয়, পরিবারে আসে সুখ শান্তি।
অন্যদিকে ভবিষ্যতের জীবন সঙ্গি যাতে হয় শিবের মতো সুন্দর আর উদার হৃদয়ের সেই প্রার্থনা জানাতে ব্যগ্র অনেকেই। ‘ওঁ নমঃ শিবায়ঃ’ আর ‘সত্যম শিবম সুন্দরমের’ মন্ত্রের আবাহনে চারিদিকে মহা শিবরাত্রির পুত পবিত্র দিনে।