জাতীয় ডেস্ক ।। দেশে সবচেয়ে স্থূলকায় পঞ্জাবের লোকজন। সবচেয়ে কৃশ চেহারা ত্রিপুরার পুরুষ ও মেঘালয়ের মহিলাদের। দেশে মোটা হয়ে যাওয়ার সমস্যা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে মঙ্গলবার রাজ্যসভায় এই তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা। কারও বডি মাস ইনডেক্স ( বিএমআই) অর্থাত্ শরীরের ওজন সূচক ২৫-এর বেশি হলে চিকিত্সার দৃষ্টিকোণ থেকে তাকে মোটা বা স্থূলকায় বলে ধরা হয়। নাড্ডার মত, মোটা হয়ে যাওয়ার সঙ্গে যোগ রয়েছে ডায়াবেটিসের। দেশে ডায়াবেটিস রোগীর হার ক্রমবর্ধমান, তাঁর দেওয়া পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে দেশে ২০ থেকে ৭৯ বছরের বয়সসীমার মধ্যে ডায়াবেটিসের কবলে পড়া লোকের সংখ্যা ছিল সাড়ে ৬ কোটি। ২০১৪ ও ২০১৫-য় সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে যথাক্রমে ৬ কোটি ৬৮ লক্ষ ও ৬ কোটি ৯১ লক্ষ।
পঞ্জাবীরা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবচেয়ে বেশি মোটা। তারপরই মোটা মানুষ সবচেয়ে বেশি কেরল ও দিল্লিতে। নাড্ডার পেশ করা পরিসংখ্যানে প্রকাশ, বিএমআই ২৫-এর বেশি, এমন পুরুষ পঞ্জাবে ২২.২ শতাংশ, কেরলে ১৭.৮ শতাংশ ও দিল্লিতে ১৬.৪ শতাংশ। বিএমআই ২৫-এর বেশি, এমন মহিলা পঞ্জাব, কেরল ও দিল্লিতে যথাক্রমে ২৯.৯, ২৮.১ ও ২৬.৪ শতাংশ। পরিসংখ্যানে এও জানা গিয়েছে, একমাত্র বিহার, মেঘালয় বাদে দেশের বাকি সব রাজ্যেই পুরুষদের চেয়ে ওজন বেশি মহিলাদের। তারা বেশি মোটা ছেলেদের চেয়ে।
ত্রিপুরার ছবিটা অন্যরকম। সেখানে মাত্র ৪.৮ শতাংশ পুরুষ ও ৭.১ শতাংশ মহিলা স্থূলকায়। মেঘালয়ও তাই। সেখানে মাত্র ৫.৯ শতাংশ পুরুষ ও ৫.৩ শতাংশ মহিলা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছেন।
জানা গিয়েছে, ২০০৫-০৬ বছরে জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষা হয়েছিল। সেই সমীক্ষা থেকেই এই পরিসংখ্যান মিলেছে।
তথ্যসূত্র – এবিপি নিউজ।