স্বাস্থ্য ও সচেতনতা ডেস্ক ।। গর্ভাবস্থায় সন্তানসম্ভবা মায়েদের বেশি বেশি মাছ খাওয়া উচিত নয়, নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে এ তথ্য।
দীর্ঘসময় ধরে ১১টি দেশ জুড়ে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় মায়েরা সপ্তাহে তিনবারের বেশি মাছ খেলে তাতে অনাগত সন্তানের স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজনে ভোগার ঝুঁকি বেড়ে যায়। জেএএমএ পেডিয়াট্রিকস প্রকাশিত এক অনলাইন প্রবন্ধে সোমবার জানানো হয়েছে, সন্তানসম্ভবা মায়েরা সপ্তাহে তিনবারের বেশি মাছ খেলে তাতে নবজাতক শিশুর প্রথম দু’ বছরে বিকাশের গতি অনেক বেশি থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি’র সুপারিশ অনুযায়ী, সন্তানসম্ভবা নারীদের প্রতি সপ্তাহে তিনবারের বেশি বা আট থেকে ১২ আউন্সের বেশি মাছ খাওয়া উচিত নয়। এই সুপারিশের সঙ্গে মিলে গেছে সাম্প্রতিক এই গবেষণার ফল। মাতৃগর্ভে ভ্রূণের বিকাশের জন্য মাছে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে গর্ভাবস্থায় মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত নয়, বলা হয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনে। কিন্তু কতটুকু মাছ একজন সন্তানসম্ভবা মা খেতে পারবেন, সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়। গবেষণার লেখক গ্রিসের ইউনিভার্সিটি অব ক্রিটের লেডা শাৎজি জানান, প্রতি সপ্তাহে একবারের বেশি ও তিনবারের কম মাছ খেলে একজন মায়ের অনাগত সন্তানের শৈশবে স্থূলতার ঝুঁকি থাকে না। গবেষণার জন্য বেলজিয়াম, ফ্রান্স, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, স্পেন ও যুক্তরাজ্যের ২৬ হাজার ১৮৪জন সন্তানসম্ভবা মায়ের গর্ভাবস্থাকালীন ও শিশুর জন্মের পরের তথ্য ও অবস্থা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। শিশুর জন্মের পর থেকে ছয় বছর বয়স পর্যন্ত দু’ বছরের বিরতি দিয়ে বাকি সময়ের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। গর্ভাবস্থায় মায়েদের মাছ খাওয়ার পরিমাণের প্রভাব ছেলে সন্তানের তুলনায় মেয়ে সন্তানের ওপর বেশি পড়ে বলেও গবেষণায় বলা হয়েছে। জার্নাল অব প্রিভেন্টেটিভ মেডিসিনে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।