আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। সিরিয়ার কুর্দি সংগঠন সিরিয়ান কুর্দিশ ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ক পার্টি (পিওয়াইডি) দেশটির উত্তরাঞ্চলে স্বায়ত্তশাসন দাবি করেছে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গৃহযুদ্ধে জর্জরিত সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শুরু হওয়া দ্বিতীয় দফার দ্বিতীয় দিনের আলোচনা শেষ হয়েছে। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে শান্তি আলোচনায়। এরপরই পিওয়াইডি কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার কুর্দি নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে পৃথক স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে ভোট দেন। কুর্দি, আরব, অ্যাজিরীয় সম্প্রদায় ও অন্যান্য উপজাতি গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা হাসাকে প্রদেশের মেলান শহরে সাক্ষাৎ করেন। উত্তর সিরিয়ায় কুর্দি নিয়ন্ত্রিত তিনটি অঞ্চলের শাসনব্যবস্থা এক করে সিরীয় প্রশাসন থেকে পৃথক একটি কেন্দ্রীয় স্বায়ত্তশাসিত ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসেছিলেন তারা। তবে এই দাবি এককথায় প্রত্যাখ্যান করেছে সিরিয়া সরকার এবং প্রধান সরকারবিরোধী জোট। এদিকে, কুর্দি জোটের এই দাবি ঘোষণা প্রতিবেশী দেশ তুরস্ককে নিশ্চিতভাবেই ক্ষুব্ধ করবে বলে আলজাজিরা জানিয়েছে। সিরিয়ায় ক্রমবর্ধমান কুর্দি শক্তি তুরস্কের কুর্দি সংখ্যালঘুদেরও বিচ্ছিন্নতাবাদে উস্কানি দেবে বলে শঙ্কিত তুরস্ক। কোবানে শহরে পিওয়াইডি’র সাবেক নেতা ও সিরিয় কুর্দি কর্মকর্তা ইদ্রিস নাসান বুধবার আলজাজিরাকে জানান, সিরিয়ায় কুর্দিদের স্বায়ত্তশাসনের ঘোষণা উত্তর সিরিয়া জুড়ে ‘স্বশাসনের গঠন-কাঠামোকে বিস্তৃত’ করতে পারে। বেশ দীর্ঘসময় ধরেই কুর্দি জোটের কেন্দ্রীয় স্বায়ত্তশাসনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ও সাম্য নিশ্চিত করতে হলে শুধু উত্তর সিরিয়া বা কুর্দি অঞ্চলেই নয়, গোটা সিরিয়ারই ভবিষ্যৎ হলো ফেডারেলিজম।’