স্বামীর নিগ্রহ থেকে মুক্তি দিতে ২ মেয়েকে হত্যা করল মা

vrজাতীয় ডেস্ক ।। হায়দ্রাবাদের সিকান্দারবাদে এক মা তার দুই মেয়েকে হত্যা করেছেন। স্বামীর নিগ্রহ থেকে ‘মুক্তি দিতে’ দুই শিশু সন্তানকে ওই নারী হত্যা করেছেন বলে বৃহস্পতিবার দ্য হিন্দুকে জানিয়েছেন গোপালাপুরমের সহকারী পুলিশ কমিশনার শিব কুমার। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে ঠিক কী কারণে রজনী ছুটকে নামের ওই নারী এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। নিহত অশ্বিকার বয়স ছিল আট বছর ও অবিস্কার বয়স ছিল তিন বছর। জানা গেছে, স্বামী, দুই মেয়ে, এক ননদ ও শাশুড়ির সঙ্গে থাকতেন ওই নারী। বাবাকে দেখলেই তার বড় মেয়ে ভয় পেয়ে যেত বলে বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন তিনি এবং ‘তার স্বামী নিজেদের মেয়ের সঙ্গে অসদাচরণ করেছেন’ বলে সন্দেহ হতে থাকে তার। বাথরুমে নিয়ে প্রথমে এক মেয়েকে ভাঙা কাঁচের বোতলের ধারালো অংশ দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন তিনি এবং কিছুক্ষণ পরই আরেক মেয়েকে শোবার ঘরে নিয়ে একইভাবে হত্যা করেন। এরপর তিনি বাড়ি ছেড়ে বের হয়ে হয়ে যান। পায়ে হেঁটেই নিকটস্থ একটি এলাকায় গিয়ে হাত ধুয়ে বাড়ি ফেরেন। বাড়ি ফেরার আগে দু’জন আত্মীয়ের কাছে তিনি স্বামীর নিগ্রহ থেকে বাঁচাতে সন্তানদের হত্যার খবর পাঠান মুঠোফোনে বার্তার মাধ্যমে। তার স্বামী বিনয় ছুটকে রাত প্রায় সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ি ফিরে মেয়েদের মৃতদেহ দেখেন। এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মেয়ে দু’টির দাদী কিছু জানতেন না। একই বাড়িতেই পৃথক একটি ঘরে থাকায় তারা কিছু জানতে পারেননি বলে জেনেছে পুলিশ।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ঘাতক মা রজনী (৪০) ব্যবসায় প্রশাসন থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। প্রায় ছয় মাস ধরে সন্তানদের যৌন নিগ্রহের ব্যাপারে স্বামীকে সন্দেহ করে আসছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রজনী ঘটনার পর নিজের মা-কে শান্তভাবেই বলেছেন, ‘ওদের মৃত্যুতে আমারও কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু ওদের আমি মুক্তি দিয়েছি।’ পুলিশকে রজনী জানিয়েছেন, তার বড় মেয়ে কয়েক মাস আগে তাকে বলেছিল যে কেউ তাকে ‘বাজেভাবে স্পর্শ করেছে’। সেই ব্যক্তিটি কে, তা মা-কে না জানালেও বাবাকে দেখলেই বড় মেয়ে ভয়ে কাঁপতে শুরু করত বলেও জানান রজনী। দুই মেয়েকে হত্যার পর রজনী পুকুরে ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পরে বাড়ি ফিরে এসে সব স্বীকার করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এ অভিযোগের ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত নয় পুলিশ।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*