জাতীয় ডেস্ক ।। উত্তরাখণ্ডের সাংবিধানিক সঙ্কট নিয়ে এবার নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত। তাঁর অভিযোগ, মোদি সরকার গণতন্ত্রকে হত্যার খেলায় মেতেছে। পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে তিনি পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে বিধায়ক কেনার অভিযোগও তুলেছেন। এদিন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত বলেন, তিনজন গাড়িতে ঘুরে ঘুরে বিধায়কদের পাঁচ কোটি টাকা ঘুষ দিচ্ছে। দলবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়ক হরক সিংহ রাওয়াতকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত। এদিকে, দিল্লিতে বসে হরক সিংহ রাওয়াত আবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন। হরক সিংহ রাওয়াতের অভিযোগ, বারবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও হরিশ রাওয়াতের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। কংগ্রেসের বিদ্রোহী বিধায়কদের ঘরের বাইরে বিধানসভার স্পিকারের নোটিস আটকে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হরক সিংহর দফতরে তল্লাশির পর তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস স্পিকার গোবিন্দ সিংহর কাছে এই বিধায়কদের বিরুদ্ধে দলীয় নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ করে। উত্তরাখণ্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধীও বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি ট্যুইট করেছেন, নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য ঘোড়া কেনাবেচা চলছে। টাকা ও ক্ষমতা ব্যবহার করা হচ্ছে। এটাই বিজেপির নতুন মডেল। রাহুল গাঁধীর আক্রমণের জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি আবার পাল্টা কটাক্ষ করেছেন, কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরেই উত্তরাখণ্ডে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই উত্তরাখণ্ডে এই সঙ্কট তৈরি হয়েছে। বাজেট নিয়ে ভোটাভুটির সময় কংগ্রেসের ন’জন বিধায়ক দলের বিরুদ্ধে ভোট দেন। তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন হরক সিংহ রাওয়াত এবং বিজয় বহুগুণা। আপাতত এই নয় বিধায়কই দিল্লিতে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে রয়েছেন। ২৮ মার্চ হরিশ রাওয়াত সরকারকে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে।