স্বাস্থ্য ও সচেতনতা ডেস্ক ।। ডায়াবেটিস (বহুমূত্র) একটি হরমোন জাতীয় রোগ। অগ্ন্যাশয় যদি যথেষ্ট ইনস্যুলিন তৈরি করতে না পারে অথবা শরীর যদি উৎপন্ন ইনস্যুলিন ব্যবহারে ব্যর্থ হয়, তাহলে এ রোগ হয়।
সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার ৯ দশমিক ৩ শতাংশ লোক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। আর বিশ্বে এ রোগীর সংখ্যা প্রায় ২৯ দশমিক ১ মিলিয়ন। বয়স্ক লোকদের মধ্যে এ রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। বিশ্বে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সঙ্গে বাড়ছে বড় বড় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের আয়ও। বছরে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার কামাচ্ছে তারা। কিন্তু তাদের তৈরি ওষুধের গুণাগুণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। ওষুধ কোম্পানিগুলো মানুষকে বুঝিয়ে থাকেন- তাদের তৈরি ওষুধ ডায়াবেটিস নিরাময়ে বেশ কার্যকর। মানুষও নিরুপায় হয়ে ওই ওষুধই দেদারসে গিলছে।
কিন্তু গবেষকরা বলছেন, ওষুধ খেলেই ডায়াবেটিস কমবে- এটা একটি ভ্রান্ত ধারণা। মানুষ এতে প্রতারিত হচ্ছে। এসব ওষুধ শুধু ডায়াবেটিস নিরাময়ে ব্যর্থই হচ্ছে না, নানা শারীরিক সমস্যাও সৃষ্টি করছে। তাদের অভিযোগ, চিকিৎসকের ব্যবস্থাদি (প্রেসক্রিপশন) মোতাবেক ওই ওষুধের গুণাগুণ না ভেবেই রোগীরা তা সেবন করছেন। এটি খুব খারাপ অবস্থা তৈরি করেছে, যা এখনই নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন ও ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান পরিচালিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ওষুধ খেয়ে ডায়াবেটিস নিরাময় হয়েছে এমন রোগীর সংখ্যা বেশ কম। বরং ওই রোগীরা নতুন নতুন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এবং রোগ নিরাময়ে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে এই বিষয়টি। নতুন এই তথ্যে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে ডায়াবেটিস গবেষক ও ভুক্তভোগী রোগীদের মধ্যে।