আগরতলা, ০৬ অক্টোবর ।। কোরবানির মানে শুধু পশু হত্যা নয়, কোরবানি মানেই বিসজন, ত্যাগ । এর মত কঠিন কাজ আর কিছুই হয় না। এ ত্যাগের মহিমা হলো সবচেয়ে প্রিয় কিছুকে কোরবানি দেওয়া। এই যেমন- আমি ঘুষ খাই, ওটা আমার খুব প্রিয় অভ্যেস। আমি যদি এ অভ্যেসের কোরবানি দিতে পারি । আমি মিথ্যা কথা বলি, যদি সেই মিথ্যা বলার অভ্যেস কোরবানি দিতে পারি। আমি লোভ করি, যদি আমার লোভের এই আকাঙ্খাকে কোরবানি দিতে পারি। আমি পরচচা করি, যদি আমার এ পরচচার কোরবানি দিতে পারি। আমি পরের সম্পদ গায়ের জোরে ভোগ করছি, যদি সে সম্পদ কোরবানি দিয়ে প্রকৃত মালিককে বুঝিয়ে দিতে পারি। আমি মানুষের সাথে প্রতারনা করি, মানুষকে ঠকাই, আমি যদি এ অভ্যেসের কোরবানি দিতে পারি । আমি প্রকৃত সত্য গোপন করে প্রায়ই বাম হাত ডান হাতের ভূমিকার চেয়ে অজুহাতের ভূমিকাকে বেশি পাত্তা দিয়ে থাকি, তবে এ কোরবানিতে যদি আমার এ অজুহাতকে কোরবানি দিতে পারি, তবেই আমার আপনার এ পশু কোরবানি খোদার দরবারে কবুল হতে পারে।
সোমবার মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকেই পশু কিনে কোরবানি দিয়েছেন। কিন্তু আসলেই কোরবানি কী আমরা তা অনেকেই জানে না। আজ পশু কোরবানির সাথে মনের কোন পশুকে যদি কোরবানি দিতে পারেন তবে সেটা হবে আসল কোরবানি। আর যদি এটা করা যায়, তবেই আপনার পশু কোরবানি অথবহ হতে পারে। অন্যথা নিছক নিরাপরাধ একটা পশু কোরবানির মাধ্যমে এটা পশু জবাই উৎসব হিসেবেই পরিগণিত হতে পারে। সোমবার রাজ্যের কোরবানি ঈদের মূল অনুষ্ঠানটি হয় আগরতলার গেদু মিঞা মসজিদে।