নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ০৮ মে ।। বিশ্বের অন্য দেশগুলোর মতো ভারতেও মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার মা দিবস পালনের রেওয়াজ শুরু হয়েছে। কয়েক বছর ধরে আমাদের দেশেও ক্ষুদ্র পরিসরে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। মা দিবসের মূল উদ্দেশ্য, মাকে যথাযথ সম্মান দেওয়া। যে মা জন্ম দিয়েছেন, লালন-পালন করেছেন, তাঁকে শ্রদ্ধা দেখানোর জন্য দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্মসূচি পালন করে। সামাজিক গণমাধ্যমের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই স্ট্যাটাস ও মা –এর সাথে ছবি দিয়ে মায়ের প্রতি ভালোবাসার অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন।
মা হচ্ছে এমন একটি শব্দ, যে শব্দটি এক স্বর্গীয় পুণ্যতায় হৃদয়-মনকে অমিয় সুধায় প্লাবিত করে। ত্রিভুবনের সবচেয়ে মধুরতম শব্দ মা। মায়ের চেয়ে পৃথিবীতে আপন কেহ নাই। কবির ভাষায়, ‘মা কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তু জেন ভাই ইহার চেয়ে নাম যে মধুর ত্রিভুবনে নেই।’
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে যেমন ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় রবিবার নরওয়েতে, মার্চের চতুর্থ রবিবার আয়ারল্যান্ড, নাইজেরিয়া ও যুক্তরাজ্যে, বাংলাদেশে এবং ভারতে মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার দিবসটি পালন করা হয়।
বিশ্বের অনেক দেশে কেক কেটে মা দিবস উদযাপন করা হয়। তবে মা দিবসের প্রবক্তা আনা জার্ভিস দিবসটির বাণিজ্যিকীকরণের বিরোধিতা করে বলেছিলেন, মাকে কার্ড দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর অর্থ হলো, তাঁকে দুই কলম লেখার সময় হয় না। চকলেট উপহার দেওয়ার অর্থ হলো, তা নিজেই খেয়ে ফেলা।
আনা জার্ভিস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর ও ওহাইওর মাঝামাঝি ওয়েবস্টার জংশন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর মা অ্যান মেরি রিভস জার্ভিস সারা জীবন ব্যয় করেন অনাথ-আতুরের সেবায়। মেরি ১৯০৫ সালে মারা যান। লোকচক্ষুর অগোচরে কাজ করা মেরিকে সম্মান দিতে চাইলেন মেয়ে আনা জার্ভিস। অ্যান মেরি রিভস জার্ভিসের মতো দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সব মাকে স্বীকৃতি দিতে আনা জার্ভিস প্রচারণা শুরু করেন। সাত বছরের চেষ্টায় মা দিবস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়। দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।