দেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ০৮ মে ।। ১৮৬১ সালে কোলকাতার জোড়া সাঁকোর ঠাকুর বাডীতে যে শিশু জন্মগ্রহন করেছিল, পরবর্তীতে সাহিত্য সৃষ্টিতে গোটা বিশ্বকে সন্মোহিত করেছিলেন বিশ্বকবি। বহুমাত্রিক প্রতিভার বিচ্ছুরনে সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই যেখানে নব সৃষ্টির উন্মেষ হয়নি। উপন্যাস, নাটক, ছোট গল্প, কবিতা, ছড়া, প্রকৃতি, মানবতা-র নবরুপ ফুটে উঠেছে বিশ্বকবির কলমের আঁচরে। বিশ্বমানবতার পূজারী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জাত, পাত, ধর্মে নয় মানুষের বিচার করতেন মনুষ্যত্ব আর মানবতার সংজ্ঞায়। জাত আর ধর্মের বালাই দূর করা কঠিন তবুও বিশ্বকবি বলেছিলেন সমগ্র মানব জাতিকে ঐক্য আর শান্তির সন্ধানে এগিয়ে যেতে হবে। এখানেই বিশ্বকবি আজো প্রাসঙ্গিক। রক্তাক্ত পৃথিবীতে বিশ্বকবির সেই শান্তির বানীতেই লুকিয়ে আছে বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের সার্বজনীন বার্তা। সাহিত্যের উৎকর্ষ উদ্ভাবনের জন্য পেয়েছিলেন নোবেল প্রাইজ। মানুষের নিপীড়নে যেমন তাঁর কলম থেকে বর্ষিত হয়েছে তীব্র প্রতিবাদের লেখনী তেমন পরাধীন ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনে কোটি কোটি মানুষকে করেছেন সৃষ্টির মধ্য দিয়ে অনুপ্রানিত। বিশ্বকবি বলেছিলেন সভ্যতার সংকটে মানুষই পথ খুঁজে নেবে সঙ্কট মোচনে শান্তির পথ।
১৫৫তম জন্মদিনে তাঁরই সৃষ্টিতে হৃদয় হয়েছে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলী। সরকারী, বেসরকারী, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থা রাজ্যে আয়োজন করেছে নানা অনুষ্ঠান।