‘বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে’ – ব্যতিক্রম ছিলেন দীপক গুপ্তা

Dipak guptaদেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ১১ মে ।। মানুষের জন্য তৈরী হয় আইন, সেই আইনকে বাস্তব করে তোলে বিচার ব্যবস্থা। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সঙ্গেই বলা হয়ে থাকে – ‘আইনের লম্বা হাত’, ‘আইনের চোখে সবাই সমান’ আবার বলা হয় ‘বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে’। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ যাতে সুষ্ঠ বিচার পেতে পারে তাঁর জন্য গণতান্ত্রিক ভারতবর্ষে রয়েছে নিজস্ব আইনি ব্যবস্থা। ত্রিপুরার প্রেক্ষাপটে আইন আর বিচার ব্যবস্থার বিবেচনায় উল্লেখযোগ্য ঘটনা ত্রিপুরা হাইকোর্ট স্থাপন। ত্রিপুরায় হাইকোর্ট স্থাপনের সূচনায় ২৩শে মার্চ ২০১৩ সালে প্রধান বিচারপতি হয়ে রাজভবনে শপথ নিয়েছিলেন দীপক গুপ্তা। উল্লেখ্য, দীপক গুপ্তার রাজ্যে কার্যকালের মেয়াদে বহু ঘটনায় মানুষ সুষ্ঠু বিচার পেয়েছেন সাধারন মানুষ, ন্যায্য বিচারের আশায় দ্বারস্থ হয়েছেন ত্রিপুরা হাইকোর্টের। প্রধান বিচারপতি দীপক গুপ্তাও স্বতপ্রনোদিত হয়ে প্রশংসাযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন। বিচারের প্রতি স্বভাবতই বিশ্বাস আর আস্থা জন্মায় রাজ্যবাসীর। ২৩শে মার্চ ২০১৩ সালে ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন দীপক গুপ্তা। কার্যকালের মেয়াদ শেষে ১২ই মে ২০১৬ তে রাজ্যন্তরী হচ্ছেন। নতুন করমস্থল হিসেবে ঝাড়খন্ডে যাবেন দীপক গুপ্তা। রাজ্য ত্যাগের প্রাকমুহূর্তে প্রধান বিচারপতি দীপক গুপ্তা ত্রিপুরা হাইকোর্টের অডিটরিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানিয়েছেন, দেশের অন্যান্য আদালতে মামলা জমে থাকলেও রাজ্যে জমে থাকা মামলা অনেক হ্রাস পেয়েছে। ‘বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে’ – এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী ভূমিকার জন্য চিরকাল মনে রাখবে রাজ্যের মানুষ।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*