নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ মে ।। দেশভাগের পর ব্রিটিশ আসামের কাছাড় জেলা এবং সিলেটের হিন্দুপ্রধান কিছু অংশ (বরাক উপত্যকা) ভারতবর্ষের আসাম রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৬১ সালে আসাম রাজ্যসরকার অহমিয়া-কে একমাত্র সরকারী ভাষা হিসেবে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিলে বরাক উপত্যকার বাঙালীরা আন্দোলনে নামেন। ক্রমশঃ তীব্রতর হতে থাকে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার লড়াই। ১৯৬১ সালের ১৯শে মে, ভাষা-আন্দোলনকারীরা শিলচরে রেলপথ অবরোধ করার সময়ে তাঁদের ওপর গুলি চালায় আসাম রাইফেলস-এর একটি ব্যাটেলিয়ন। শহীদ হন ভাষা-আন্দোলনের প্রথম নারী শহীদ কমলা ভট্টাচার্য্য সহ মোট ১১ জন। আহত হন অর্ধশতাধিক। তাঁদের আত্মবলিদান আসাম সরকার-কে বাধ্য করে বাংলা-কে দ্বিতীয় সরকারী ভাষার মর্যাদা দিতে। আজ সেই ঘটনার ৪৮-তম বর্ষপূর্তিতে বাঙালনামা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে সেই শহীদদের, যাঁরা জীবনের বিনিময়ে বাংলাভাষা ও বাঙালীর অধিকার রক্ষা করেছেন। ১৯শে মে মাতৃভাষা রক্ষা দিবস। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আগরতলার নজরুল কলাক্ষেত্রে বরাকের ভাষা শহিদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অনুষ্ঠান ও মাতৃভাষা রক্ষা দিবস পালন করা হয়।