দেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ২৬ মে ।। জীবন যুদ্ধের গল্পে “নিউজ আপডেট অব ত্রিপুরা ডট কম”-র আজকের কাহিনীর কেন্দ্রীয় চরিত্র হচ্ছেন জীরানীয়ার দীপক দাশ। সকালের সূর্যোদয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দীপক বাবু চলে আসেন শহরে। সার্বক্ষণিক সঙ্গি এই তেপায়া হুইলের রিক্সা। যাত্রী টানেন খুব কম, শহরের রাজ পথে পুর নিগমের আবর্জনা ফেলার বাক্সেই দীপক বাবুর পরিবারের রুটিরুজির উৎস। কখনো বটতলা, কখনো শকুন্তলা – এভাবেই জীরানীয়ার দীপক দাশ আবর্জনার বাক্স থেকে প্লাস্টিক, পীচ বোর্ডের বাক্স, পেটি সংগ্রহ করে রিক্সায় বস্তাবন্দী করে চলে যান মহারাজগঞ্জ বাজারে। সংগ্রহিত উপাদান বিক্রি করে যা পান তাতেই চলে সংসার। একদিকে যখন চাকরি নিয়ে জোরদার আলোচনা অন্যদিকে দীপক বাবুর পেটের যুদ্ধের এই দৃশ্যের এক্তাই উপমা হতে পারে – কি বিচিত্র এই পৃথিবী! “নিউজ আপডেট অব ত্রিপুরা ডট কম”-র প্রতিনিধির কাছে দীপক বাবু বলেছেন প্লাস্টিক আর পিচ বোর্ডেই বাঁচিয়ে রেখেছে সংসারকে। এই পেসার আয় দিয়েই চার মেয়ের মধ্যে দু’জনের বিয়ে দিয়েছেন। পাতে হয়তো রুটি, মাখন পড়েনা কিন্তু জীরানীয়ার দীপক বাবু যে পথে উপার্জন করছেন তাতে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই তাঁর। জীবন যুদ্ধের লড়াইয়ে হার না মানা সৈনিক জীরানীয়ার দীপক দাশকে স্যালিউট জানাই – তাঁর আপোষহীন অদম্য মানষিকতার জন্য। ‘শ্রমের মর্যাদা’-র কথা শুনেছেন কিনা দীপক বাবু – সেই প্রশ্নটাই করা হয়নি।