গোপাল সিং, খোয়াই, ১৬ জুন ।। স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। মানুষ অসুস্থ্য হলে হাসপাতালমুখী হবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা চাই একটা মানুষও যেন অসুস্থ্য না হয়। এমন বহু রোগ রয়েছে যেগুলি স্বাস্থ্য সচেতনতার মাধ্যমে অনায়াসেই প্রতিহত করা সম্ভব। যেমন জলবাহিত রোগ, ম্যালেরিয়া, জাপানিজ এনকেফেলাইটিস, ডেঙ্গু ছাড়াও রয়েছে যক্ষার মত রোগ। এসমস্ত রোগ শুধুমাত্র স্বাস্থ্য সচেতনতার মাধ্যমেই প্রতিহত করা সম্ভব। এমনকি অনাকাঙ্খিত মৃত্যুকেও এড়ানো সম্ভব। কিন্তু দু:খজনকভাবে এ রাজ্যে জলবাহিত রোগ, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হয়ে শুধুমাত্র সচেতনতার অভাবে মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। খোয়াই তুলাশিখর ব্লকের অধীন ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিশেষ করে শিকারি বাড়ী, বাদলা বাড়ী এবং পূর্ব রাজনগরে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেশী। এনিয়ে সিএমও’কে জিজ্ঞেস করা হলেও দায়সারাভাবে প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান। এছাড়াও খোয়াই জেলাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি এলাকা বা গ্রাম যেখানে এসমস্ত রোগের প্রাদুর্ভাব হচ্ছে। যেমন মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের অধীন আঠারোমুড়া, উত্তর গকুলনগর, কাকড়াছড়া, ৪৩/৪৪/৪৫/৪৬/৪৭ মাইল এলাকা, বিলাইহাম পাড়া, হাজরা পাড়া এসমস্ত উপজাতি অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে। এসমস্ত গ্রামগুলিকে জলবাহিত রোগের প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে ইতিমধ্যে খোয়াই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে মাষ্টার প্ল্যান তৈরী করা হয়েছে। জেলার একখানা কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ন্যাশনাল হেলথ মিশনের অধীন জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান সোসাইটির উদ্যোগে একদিনের মিডিয়া ওয়ার্কশপে এমনই তথ্য তুলে ধরেন পাবলিক রিলেশন অফিসার পারিজাত দত্ত। Prevent & Curative measures of Vector Borne Diseases (Malaria, Dengue, Japanese Encephalities etc) under NVBDCP এই ছিল মিডিয়া ওয়ার্কশপের মুল বিষয়। মুলত মিডিয়ার মাধ্যমে আরও বেশী করে এসমস্ত রোগ সম্বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এদিনের মিডিয়া ওয়ার্কশপে খোয়াইয়ের মিডিয়া কর্মী সহ উপস্থিত ছিলেন যক্ষা নিবারন অফিসার সৈকত দেব, খোয়াই জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ড. পি-কে-মজুমদার, মেডিক্যাল সুপারিনটেন্ডেন্ট ড. ধনঞ্জয় রিয়াং প্রমুখ। এদিনকার মিডিয়া ওয়ার্কশপের মাধ্যমে মিডিয়া কর্মীদের ঐকান্তিক সহযোগিতা কামনা করেন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। অপরদিকে মিডিয়া কর্মীদের তরফে আহ্বান জানানো হয় যে, আগামী দিনে এধরনের ওয়ার্কশপ শহরকেন্দ্রীক না করে গ্রাম বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনুষ্ঠিত করলে ঐসব এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে সচেতনতার বার্তা আরও একটু বেশী করে পৌছতে পারে।