স্বাস্থ্য ও সচেতনতা ডেস্ক ।। শিশু ঘুমাচ্ছে বলে অভিভাবক হিসেবে এতদিন সন্তানকে অনেক বকেছেন। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা সন্তানদের হাতেই পাল্টা অস্ত্র তুলে দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক জানিয়েছেন, বয়সভেদে শিশুদের ঘুমের সময় কমলেও তা একেবারে কম নয়। শিশুর বুদ্ধির বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা বয়স অনুসারে ঘুমের প্রয়োজনীয় সময়ের তালিকাও প্রকাশ করেছেন। সেখানে নবজাতক থেকে শুরু করে কিশোরকালে কতক্ষণ ঘুমাতে হবে তার উল্লেখ আছে। আমেরিকান একাডেমি অব স্লিপ মেডিসিন সম্প্রতি প্রথমবারের মতো বয়স ভেদে ঘুমের এই তালিকা প্রকাশ করে। যা ঘুমের সময় নিয়ে আগের ধারণাই পাল্টে দিচ্ছে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পর্যাপ্ত ঘুমের সাথে ব্যবহার, মনোযোগ, শেখার ক্ষমতার মতো মানসিক ও শারীরিক বিষয়ের যোগ আছে। বয়স ভেদে ঘুমের পরিমাণে তারতম্য ঘটে। ফলে বেশি সময়ের ঘুম যেমন ক্ষতিকর, একই ফল ঘটবে কম ঘুমালেও। ঘুম বেশি হলে মোটা হওয়া, ডায়াবেটিকস রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তেমনই কম ঘুম হলেও ক্লান্তি, বিষণ্নতা, ধৈর্যচ্যুতির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গবেষকদের হিসেবে বয়স ভেদে আদর্শ ঘুমের সময় এরকম,
• ৪ থেকে ১২ মাস বয়সীদের জন্য দিনে ঘুমের পরিমাণ ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা।
• ১ থেকে ২ বছর বয়সীদের জন্য ঘুমের আদর্শ সময় ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা।
• ৩ থেকে ৫ বছর বয়সীদের জন্য ঘুম বরাদ্দ ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা।
• ৬ থেকে ১২ বছর বয়সীরা ঘুমাতে পারবে ৯ থেকে ১২ ঘণ্টা।
• ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমানো ভালো।