দূর্ঘটনার কবলে যাত্রীবাহী অটো, চালক সহ মারাত্মক জখম ৮জন যাত্রী

acdগোপাল সিং, খোয়াই, ১২ জুলাই ।। খোয়াই জেলায় প্রতিদিন পথ দূর্ঘটনা লেগেই আছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সাথে পাল্লা দিয়ে খোয়াইতে মাত্রারিক্ত হারে বাড়ছে যান দূর্ঘটনা। সোমবারও খোয়াই থানাধীন সোনাতলা এলাকায় একটি বড় গাড়ীকে পাশ কাটতে গিয়ে ৮ জন যাত্রী নিয়ে দূর্ঘটনার কবলে পড়ে TR01-3290 নম্বরের অটো। প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা যায় খোয়াই থানাধীন সোনাতলা গ্রামের মহাবীর চৌমূহনী এলাকায় একটি বড় গাড়ীকে পাশ কাটতে গিয়ে যাত্রীবাহি অটোটি ধাক্কা খায় এবং সঙ্গে সঙ্গেই ৮ জন যাত্রী নিয়ে অটোটি উল্টে যায়। অটো থেকে ছিটকে পড়েন সমস্ত যাত্রীরা। গুরুতর জখম হন অটোর চালক চন্দন দাস। পাশাপাশি অটোর ৮ জন যাত্রীই জখম হন। আহত যাত্রীরা হলেন বুলু রানী দেবনাথ, ছবি রাণী দেববর্মা, লক্ষী বর্মা, রহিম বর্মা, কমলা বর্মা, প্রাণতোষ সোম ও বিমলা দেব। আহতদের তড়িঘরি নিয়ে আসা হয় খোয়াই জেলা হাসপাতালে। সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলছে। তবে অটো চালক চন্দন দাসের আঘাত গুরুতর হওয়ায় উনাকে জিবি স্থানান্তরিত করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। তবে উত্তোরত্তোর বৃদ্ধি পাওয়া যান দূর্ঘটনার জন্য খোয়াইবাসী দায়ি করছেন সরু রাস্তা এবং রাস্তার মধ্যেকার ছোট-বড় গর্তকে। আর এবিষয়ে পূর্ত্ত দপ্তরের খামখেয়ালিপনাই চরম ক্ষোভের কারন হয়ে উঠছে। তবে খোয়াইতে জনগনের সুবিধার্থে ফুটপাত না থাকা একটা বিরাট কারন। শহরের উপর ফুটপাত দোকানীদের দখলে থাকার ফলে এবং সেই সাথে মাত্রারিক্ত হারে যানবাহন বৃদ্ধির ফলে পথচলতি মানুষকে সর্বদাই বিপাকে পড়তে হচ্ছে। তাছাড়া যানবাহন চালকদের অতি মাত্রায় অসচেতনতা, দ্রুত গতিতে যান চালানো এবং টাফিক নিয়ম-নীতিকে তোয়াক্কা না করার মতো প্রবনতা কেবলই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ট্রাফিকের সামনে দিয়েই হেলমেট না পরে বাইক আরোহীরা নিত্যদিনই হিরোগিরি করতে ব্যস্ত থাকেন। এর মধ্যে যেমন রয়েছে বিত্তশালী পরিবারের লোক তেমনি রয়েছে প্রভাবশালী লোকও। আরক্ষা প্রশাসন কেবল মাত্র নির্দিষ্ট কিছু দিনেই বাইক পাকড়াও অভিযানে নামেন। মাসের অন্যান্য দিনগুলিতে ট্রাফিক পুলিশের সামনে দিয়েই হেলমেট না পরে অধিক গতিতে একের পর এক বাইক চালাচল করলেও তারা তখন চোখে দেখেন না। এই কর্তব্যে গাফিলতির কারনে প্রাণসংশয় হয় আম জনতার। অথচ খোয়াইয়ের পুলিশ আধিকারিকরাই বিভিন্ন স্থানে জনগনকে সচেতন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রয়াস করছেন। অন্যদিকে ট্রাফিক পুলিশ কর্তব্যে গাফিলতির চরম দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে ব্যস্ত।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*