গোপাল সিং, খোয়াই, ১৪ জুলাই ।। বৃহস্পতিবার সাত সকালে দুই পরিবারের মধ্যে বাঁধল দক্ষ-যজ্ঞ। ঘটনা খোয়াই থানাধীন উত্তর চেবরী এলাকায়। খোয়াই নদীর চরে চার কানি জমি দখলকে নিয়ে দুই পরিবারের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে গুরুতর জখম হয় সাত জন। এর মধ্যে দুই পরিবারের পাঁচ জনকে বৃহস্পতিবার সকালেই খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় জিবি স্থানান্তরিত করা হয়। বাকি দুজনকে চেবরী প্রাথমিক হাসপাতাল থেকে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সাত সকালে খোয়াই থানাধীন উত্তর চেবরী খোয়াই নদীর চরে জমির দখল নিয়ে এই লঙ্কা কান্ড ঘটে। খোয়াইয়ের উত্তর চেবরীর খোয়াই নদীর চরের একটি স্থানের চার কানি জায়গার দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলছিল বিমল রুদ্রপাল এবং ধীরেন্দ্র রুদ্রপালের পারিবারে মধ্যে। এই জায়গাটি নিয়ে মহকুমা মেজিস্ট্রটের আদালতে মামলাও চলছে। সেই মত মহকুমা প্রশাসন সমস্ত ঘটনার তদন্ত ক্রমে জেলা শাসকের অফিসে রিপোর্ট পর্যন্ত পাঠিয়ে দিয়েছে এবং দুই পক্ষকেই বলা হয়েছে এই জমিতে যেন কেউ না আসে। কিন্তু ধীরেন্দ্র রুদ্রপাল এই চরে মরিচের চাষ করছে। বৃহস্পতিবার বিমল রুদ্রপাল এই মরিচ চাষের উপরই নদীর চরের চারকানি এলাকা জুড়ে বেড়া দিয়ে একটি টিনের ঘড় তৈরী করে নেয়। কিন্তু সাত সকালে নদীর চরে এসে ধীরেন্দ্র রুদ্রপাল এই দৃশ্য দেখে পরিবারের লোকদের একত্রিত করে লাঠি নিয়ে আক্রমন চালায় বিমল রুদ্রপালের পরিবারের উপর। বিমল রুদ্র পালের পক্ষেও পরিবারের লোকেরাও পাল্টা হামলা চালায়। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল সাতটায় খোয়াই নদীর চর হয়ে উঠে রনক্ষেত্র। ঘটনা স্থলে ছুটে যায় খোয়াই থানার পুলিশ আধিকারিক সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। দুই পরিবারের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুই পক্ষের সাত জন জখম হয়। বিমল রুদ্রপালের পরিবারের দুইজন এবং ধীরেন্দ্র রুদ্রপালের পরিবারের তিন জন গুরুতর জখম হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজনকে সকালে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের জিবি হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এছাড়া আরো দুইজন অল্প বিস্তর আহত হয়েছে। তাদের চেবরী হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার সাত সকালে দুই পরিবারের মধ্যে এমন সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করে গোটা উত্তর চেবরী এলাকায়।