খোয়াই হাসপাতালে রোগীদের খাবার এবং শিশু খাদ্য চুরি

khpগোপাল সিং, খোয়াই, ২২ জুলাই ।। খোয়াই জেলা হাসপাতালে রোগীদের খাবার এবং শিশু খাদ্য চুরি। সাইকেলে রাখা বেগ তল্লাশী করে মিলল এই চুরিকান্ডের সন্ধান। বেগ থেকে উদ্ধার হয় শিশুদের জন্য বরাদ্দ দুধ, সবজি, চাল-ডাল-মশলা সহ অন্যান্য সামগ্রী। এনিয়ে রোগীদের পাশাপাশি স্থানীয় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। জেলা হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা এমনিতেই তলানিতে। তার মধ্যে জেলা হাসপাতালের একাংশ সেবক-সেবিকাদের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ প্রমান সহ প্রকাশ পাওয়ার পর ছি:ছি: রব উঠছে জনমনে। সব থেকে আশ্চর্য্যের বিষয় হল, যেসব সেবক-সেবিকারা শিশু খাদ্য বা রোগীদের জন্য বরাদ্দ খাদ্য বছরের পর বছর ধরে প্রতিদিন চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে উনারা কোন অস্থায়ী সেবক-সেবিকা নয়। হাসপাতালের নিয়মিত সেবক-সেবিকারা বাধ্য হয়েই জেলা হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেন্ডেন্ট-এর কাছে লিখিত অভিযোগ জানায়। তারপরও কোন হেলদুল নেই মেডিক্যাল সুপারিনটেন্ডেন্টের। নাম মাত্র একটি সহজ সরল ভাষায় শোকজ নোটিশ ধরিয়ে দেওয়া হয় এই কেলেঙ্কারীর সাথে জড়িতদের। অপরদিকে এই শোকজ নোটিশের জবাব দিতে বড় বড় রুই-কাতল সেবক-সেবিকারা এগিয়ে আসেন এবং উনারাই জবাব দেন। জবাবে উল্লেখ করা হয় যে তারা বাজার থেকে সামগ্রীগুলি এনেছিল এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে। অথচ মজার ব্যাপার হল, বাংলায় একটি প্রবাদ আছে মায়ের চেয়ে মাসির দরদ নাকি বেশী। যারা রোগীদের খাদ্য, শিশু খাদ্য চুরি করে বাড়ীতে নিয়ে যায় তারা হাতেনাতে ধরা পড়েও রেহাই পেয়ে গেলেন। তাদের হয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা কেন হল? নাকি এর পেছনে কোন বড় রহস্য লুকিয়ে রয়েছে নাকি চোরে চোরে মাসতুতু ভাইয়ের গল্প এখানেও বাস্তব রূপ পেল? এসমস্ত প্রশ্নই এখন জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে। জনসাধারনের মতে একাংশ দূর্নীতি পরায়ন সেবক-সেবিকার জন্য বদনামের ভাগিদার হয় পুরো জেলা হাসপাতালের সেবক-সেবিকারা। অথচ প্রশ্ন উঠছে হাতেগুনা কয়েকজন দূর্নীতিগ্রস্থ সেবক-সেবিকাদের এত ক্ষমতা কে দিল? এতে যে জেলা হাসপাতালের বদনাম ছড়িয়ে পড়ছে এনিয়ে কিন্তু নিয়মিত সেবক-সেবিকাদের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। এমন নুংরা ঘটনার সঠিক তদন্তক্রমে এই চুর চক্রের রহস্য উদঘাটন শীঘ্রই হউক, এমনটাই দাবি খোয়াইবাসীর। প্রকৃত দোষীদের প্রকাশ্যে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জনসাধারনের।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*