দেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ৩১ জুলাই ।। ৩১শে জুলাই, ২০১৬ (রবিবার) ত্রিপুরার ইতিহাসে যুক্ত হয়েছে নতুন এক অধ্যায়। উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রান্তিক সীমায় অবস্থিত দুর্গম পাহাড়ী রাজ্যের মানুষ যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারিনে চরম সংকটের সঙ্গে লড়াই করেছেন, স্বপ্ন দেখতেন কবে পথের যন্ত্রনার অবসান হয়। সেই ক্ষেত্রে ত্রিপুরায় ব্রডগেজ রেলের সম্প্রসারণ গোটা ত্রিপুরাবাসীর জন্য স্মরনীয় তালিকায় লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে চিরকাল।
বাধারঘাটস্থিত আগরতলা রেল স্টেশন তৈরি হয়েছে উজ্বয়ন্ত রাজপ্রাসাদের আদলে। নান্দনিকতার সঙ্গে আধুনিকতার মিশেলে তৈরি রেল স্টেশনকে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়ে যায় বেশ কয়েকদিন আগে থেকে – ব্রডগেজ রেলের আগমন উপলক্ষ্যে। অপেক্ষার প্রহর গোনা শুরু হয়ে যায় বহু আগে, অবশেষে ৩১শে জুলাই রবিবার প্রতীক্ষা উচ্ছ্বাস আনন্দে বাস্তব হয়ে উঠে। একই দিনে আগরতলা-আখাউড়া রেল যোগাযোগের শিলান্যাস উচ্ছ্বাসে বাড়তি মাত্রা এনে দেয়।
বাধারঘাটের আগরতলা-আনন্দ বিহার (দিল্লী) ব্রডগেজ রেলের শুভারম্ভের স্মরণীয় অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভাকর প্রভু সবুজ পতাকা নেড়ে যাত্রার সংকেত দিতেই শুভক্ষণের সাক্ষী থাকা হাজার হাজার মানুষের আনন্দ উল্লাস প্লাবনের রুপ নেয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী মহম্মদ মুজিবুল হক, ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়, রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী রাজেন গোঁহাই, রাজ্যের পূর্ত মন্ত্রী বাদল চৌধুরী, পরিবহণ মন্ত্রী মানিক দে, ত্রিপুরা থেকে নির্বাচিত সাংসদ বৃন্দ, ত্রিপুরা মন্ত্রীসভার বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রীরা সহ এন এফ রেলওয়ের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।