দেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ০৯ আগষ্ট ।। রাজনীতির হাওয়া আগামীতে কোন দিকে বইবে সেই হিসেব পরিস্কার হবে আগামীতে। তবে স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে তৃণমূল সুপ্রীমো মমতা ব্যানার্জীর জনসভায় সভ্য সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে কোনো খামতি ছিল না। প্রধান বক্তা মমতা ব্যানার্জীর ভাষনের জন্য সব বক্তাই কাটছাঁট করে বক্তব্য রেখেছেন। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তৃণমূল সুপ্রীমোর ভাষনে মাঝে মাঝেই সহর্ষ করতালি আর মমতা ব্যানার্জী জিন্দাবাদ ধবনি শোনা গেছে বিবেকানন্দ ময়দানে।
ঠারেঠুরে আক্রমন শানিয়েছেন রাজ্যে ক্ষমতাসীন দল আর মূখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে। পাঁচ বছরের পশ্চিম বাংলার উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে ত্রিপুরার উন্নয়ন নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সুপ্রীমো মমতা ব্যানার্জী। বলেছেন ত্রিপুরার সঙ্গে আগেই সম্পর্ক রয়েছে।
তৃণমূল সুপ্রীমো ২০১৮ সালের ভোটকে সামনে রেখে এখন থেকেই সংগঠনের কাজে নেতৃবৃন্দের ভূমিকার পাশাপাশি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়ার বার্তা দিয়েছেন। বিশেষ করে ST, SC, OBC, সংখ্যালঘু মানুষদের কথা উল্লেখ করে পশ্চিম বাংলায় তাদের জন্য গৃহিত কর্মসূচীর কথা, শিল্পী, সাহিত্যিক, সংস্কৃতির অঙ্গনে যুক্তদের জন্য তৃণমূল সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের উল্লেখ করেছেন।
তৃণমূল সুপ্রীমো মমতা ব্যানার্জী আগামী বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে আরো কয়েকবার রাজ্যে আসার কথা বলেছেন। কর্মীদের বলেছেন ভয়কে জয় কররে এগিয়ে যাওয়ার। ইন্দ্রনীল সেনের মঞ্চে নেতৃবৃন্দ সঙ্গে সভ্য সমর্থকরা জাতীয় সঙ্গিত দিয়ে মমতা ব্যানার্জীর ভাষন শেষ করেছেন।
মঙ্গলবার শহরের স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে তৃণমূলের জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে তৃণমূল সুপ্রীমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মমতা ব্যানার্জী, তৃণমূলের সহ-সভাপতি মুকুল রায়, পশ্চিমবঙ্গের তিন মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, ইন্দ্রনীল সেন, রাজ্যের বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ, চেয়ারম্যান রতন চক্রবর্তী, সভাপতি সুরজিৎ দত্ত, বিধায়ক আশিস কুমার সাহা, যুবনেতা সুশান্ত চৌধুরী, অরুন চন্দ্র ভৌমিক, ভিকি প্রসাদ সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।