গোপাল সিং, খোয়াই, ১০ আগষ্ট ।। জাতীয় কৃমি নাশক দিবস উপলক্ষ্যে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের উদ্যোগে খোয়াই জেলা হাসপাতালের কনফারেন্স হলে জেলা ভিত্তিক মিডিয়া কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গলবার। কর্মশালায় ডিস্ট্রিক্ট নোডাল অফিসার বি.রক্ষিত জানান, ১০ই আগষ্ট জাতীয় কৃমি নাশক দিবসে ১-৫ বছর বয়সী শিশু থেকে এবং ৬-১৯ বছরের কিশোর-কিশোরীদের অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র এবং বিদ্যালয়েগুলিতে বিনামূল্যে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে। সেই সাথে বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশুদেরও এই কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে। তবে অবশ্যই এই কর্মসূচীর জন্য প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত প্রতিনিধি যেমন অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী, আশা, বা শিক্ষকের মাধ্যমেই কৃশিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে। যেসব শিশু, কিশোর-কিশোরীকে জাতীয় কৃমিনাশক দিবসে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়া থেকে বাদ যাবে তাদের ‘মপ-আপ’ দিবস অর্থাৎ ১৮ই আগষ্ট ঐ ওষুধ খাওয়ানো হবে। রক্তশূন্যতা, পুষ্টির অভাব, ক্ষুধাহীনতা, দূর্বলতা ও উদ্বেগ, পেট ব্যাথা, বমনেচ্ছা, বমি ও পেট খারাপ এবং মলে রক্ত যাওয়া কৃমিতে আক্রান্ত হবার লক্ষন। কিন্তু কৃমিনাশক দিবসে এই ওষুধ খাওয়ানোর ফলে এর থেকে রেহাই পেয়ে যাবে শিশু-কিশোররা। সেই সাথে তাদের একাগ্রতা, শেখার ক্ষমতা এবং বিদ্যালয় কিংবা অঙ্গনওয়াড়ীতে উপস্থিতির হার বাড়াতে সহায়ক হবে। বাড়বে কর্মক্ষমতা ও জীবিকা উপার্জনের সুযোগ এবং সামাজিক পর্যায়ে কৃমি পরিবহন-চক্র ভেঙে দিয়ে সংক্রমন কমাতে সহায়ক হবে। কৃমিনাশক ওষুধ গ্রহন করার পর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবেনা বলে দাবি করেও, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামান্য বমিভাব, তলপেটে সামান্য ব্যাথা, ডায়েরিয়া কিংবা অবসাদ হতে পারে বলেও অবগত করা হয়। তবে তার জন্য প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে শিশু, কিশোর-কিশোরীদের সমস্যা সমাধানে নিয়োগ থাকবেন বলেও জানালেন ডিস্ট্রিক্ট নোডাল অফিসার বি.রক্ষিত। কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোর পেছনে শিশুদের স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যাগুলি থেকে শিশু-কিশোরদের রক্ষা করাই একমাত্র লক্ষ্য বলে জানালেন ভারপ্রাপ্ত জেলা উপ-স্বাস্থ্য আধিকারিক ড. রনেন বর্মন।