গোপাল সিং, খোয়াই, ১৯ আগষ্ট ।। খোয়াই জেলার পদ্মবিল ব্লকের উন্নয়মূলক কাজের ৮০ শতাংশ কাজে বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম করা হচ্ছে। জনগন ও সংবাদ মাধ্যম বারবার তথ্য সহকারে এই অনিয়ম তুলে ধরার চেষ্টা করে চলছে। কিন্তু তারপরও কোন প্রকার সংযোগ বা প্রতিরোধ পাওয়া যায়না। যদিও প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী দশরথ দেবের মৃত্যুর পর ভোটের বাক্সে প্রতিবাদ জানাচ্ছে জনগন। প্রতি বিধানসভা, এডিসি বা ভিলেজ কাউন্সিল নির্বাচনেই ভোটের হার কমে যাচ্ছে। গত বিধানসভা নির্বাচনের পর পদ্মবিল মাঠে কুমারি-মধুতি-রূপশ্রী শহীদান দিবসে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন রামচন্দ্রঘাট বিধানসভার ভোটে প্রতিবারই কেন ভোট কমে যাচ্ছে। তার বিচার বিশ্লেষন করতে হবে। তারপরও কিন্তু উন্নয়নের কাজে অনিয়ম কমেনি। বরং দিনে দিনেই বাড়ছে। জনগনের মতে একটি বিরোধী দলও যুক্ত আছে এতে। বিশেষ ঐ বিরোধী দলের নেতাকে বিভিন্ন সরকারী কাজ দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। শিক্ষা-স্বাস্থ্য-পাণীয় জল সহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলছেন জনসাধারন। অভিযোগ রয়েছে স্কুলের বিল্ডিং এর কাজ নিয়ে। আর এই অভিযোগ তুলে জনগন জানালেন পদ্মবিল ব্লকের এমন একটি গ্রামের নাম যে গ্রাম শহর থেকে এবং মুল সড়ক থেকে দূরে তো বটেই, এত নির্জন এলাকা যেখানে প্রশাসনের, কোন মন্ত্রী-আমলা বা জনগনেরই যাবার মত নয়। স্পষ্টত বলতে যাবার কোন প্রয়োজনই পড়েনা সেখানে। এমনই একটি গ্রামের স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা জেনে হয়তো খুদ শিক্ষা দপ্তরই অবাক হবে। স্কুলের নাম ওয়ান্ডলং বাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়। এলাকা বা গ্রামের নাম রামদয়ালবাড়ী। পদ্মবিল ব্লকের অধীন এই উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন পাকা বাড়ীর উদ্বোধন খুব শীঘ্রই হবে। কিন্তু গ্রামবাসীরা অভিযোগ করে জানালেন এই ভবনটি নির্মান করতে বরাদ্দ প্রায় ৫১ লক্ষ টাকা হলেও দূর্গম এলাকা হওয়ায় ব্লকের ইঞ্জিনিয়ার বাবু প্রায় ৩২ লক্ষ টাকায় কাজটি দিয়ে দেন এলাকারই কতিপয় যুবকের হাতে। একটি বিরোধী দল যাতে প্রতিবাদ না করে তাদের নাকি দেওয়া হয় প্রায় ১ লক্ষ টাকা। ইঞ্জিনিয়ার বাবু পরামর্শ দেন কাজ যেমনই হউক সামনের দিকে চাকচিক্য হতে হবে। অথচ এলাকাবাসীর অভিযোগ এত নিম্নমানের কাজ হয়েছে যে উদ্বোধনের আগেই বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে এবং সেনিটেশনগুলি এমন যে ব্যবহার করলে স্নান করতে হবে। বড় বড় ফাটল যার উপর বারবার প্রলেপ দিয়ে ঠিক করা হচ্ছে। এমন নিম্নমানের কাজের ফলে আগামী দিনে বিপদের মুখে পড়বে স্কুল পড়ুয়ারা। এই অবস্থার মধ্যে জনগন অভিযোগ করে বলছেন যদি কাজে প্রায় ৩২ লক্ষ এবং আন্দোলনের মুখ বন্ধ করতে প্রায় ১ লক্ষ, তবে বাকি প্রায় ১৯ লক্ষ কোন তহবিলে গেল? এটি শুধু একটি মাত্র স্কুলের নির্মিয়মান কাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ নয় পদ্মবিল ব্লকের অধীন প্রায় ৮০ শতাংশ নির্মান কাজেই এমন গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এমন দূর্বিসহ অবস্থার মধ্যেও নীরব ভূমিকায় রয়েছে পদ্মবিল ব্লক। এনিয়ে জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে।