গোপাল সিং, খোয়াই, ২৪ আগষ্ট ।। ভারতের ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র ৯ম খোয়াই মহকুমা সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হল বুধবার বিকেলে। ২৪ এবং ২৫শে আগষ্ট গনকী স্থিত কথাকলি হলে অনুষ্ঠিত হবে দু’দিনব্যাপী সম্মেলন। ২৪শে আগষ্ট প্রকাশ্য সমাবেশ দিয়েই শুরু হয় সম্মেলন। এদিনকার প্রকাশ্য সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ তথা সিআইটিইউ রাজ্য সম্পাদক শংকর প্রসাদ দত্ত, সমীরন চক্রবর্তী, সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য পদ্মকুমার দেববর্মা, সিআইটিইউ খোয়াই বিভাগীয় সম্পাদক ও সভাপতি যথাক্রমে নির্মল বিশ্বাস ও বিপ্লবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা। জনসভা শুরুর আগে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শ্রমিকের মিছিল সুসজ্জিতভাবে প্রবেশ করে সমাবেশস্থলে। জনসভার শুরুতেই শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন উপস্থিত নেতৃত্বরা। জনসভার মুল বক্তা উনার ভাষনে মোদি সরকারকে আক্রমন করেন এবং বলেন নরেন্দ্র মোদী মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে মানুষকে বোকা বানিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। জনগনের প্রত্যেক একাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রকাশ্য সমাবেশের মঞ্চ থেকেই জনগনের উদ্দেশ্যে বললেন, কেউ কি ১৫ লক্ষ টাকা পেয়েছেন? যদি একজনও পেয়ে থাকেন হাত তুলুন, আমি অন্ততপক্ষে পার্লামেন্টে গিয়ে বলতে পারব যে একজন হলেও ১৫ লক্ষ টাকা পেয়েছেন। শংকর প্রসাদ দত্ত বারবারই উনার মোবাইল ফোন জনগনের দিকে দেখিয়ে বলেছেন দেখুন মোবাইল ফোনে : রাজস্থান সরকার বিজেপি দ্বারা পরিচালিত যেখানে তেল ১৮০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়। দ্রব্যমূল্য তুলে ধরে সংবাদ মাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, আপনারা খোয়াই শহরে দ্রব্যমূল্য যাচাই করলে কতটুকু ফারাক আপনারাই বোঝবেন। জিনিষ পত্রের দাম বাড়ানোর মূল কেন্দ্র হচ্ছে তেল যা বিজেপি সরকার ১০ টাকা বাড়িয়ে ২ টাকা কমায় এবং ১৭-২০ বার তেলের দাম বৃদ্ধি করে। যার ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি। বর্তমানে উনারাই অশান্ত করছেন দেশটাকে। ধর্মের নামে, গৌ-মাতার নামে উস্কানী দিচ্ছে। আর জনগন আর্থিক সংকটে ভোগছেন। অপরদিকে সমীরন চক্রবর্তী উনার ভাষনে, শ্রমিক-কৃষক-মেহনতী মানুষদের দু:খ-দূর্দশার জন্য বর্তমান এনডিএ সরকারের ভ্রান্ত নীতিকে দায়ী করেন। এ কারনেই আজ অস্তিত্ব সংকটের মুখে শ্রমিক-কৃষক-মেহনতী মানুষরা। এদিকে সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য পদ্মকুমার দেববর্মা শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানান। সেই সাথে তিনি জানালেন আইপিএফটি নানান ভাবে গুঁজব ছড়াচ্ছে। আজ উনার সামনেই আইপিএফটি’র এক কর্মী মোবাইল ফোনে খোয়াই শহরে নানান জায়গায় মারপিট হচ্ছে বলে গুঁজব ছড়াতে থাকে। আর এই গুঁজব পৌছে দিচ্ছে গ্রামে-গঞ্জে সর্বত্র। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি এর প্রতিবাদ করেন এবং আইপিএফটি’র ঐ কর্মীকে ধমক দেন। প্রকাশ্য সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিআইটিইউ খোয়াই বিভাগীয় সম্পাদক নির্মল বিশ্বাস জানান, গত তিন বছরে সংগঠন খোয়াইতে কত শক্তিশালী হয়েছে এবং কোথায় কোথায় ত্রুটি রয়েছে তা দু’দিনব্যাপী সম্মেলনে আলোচনা হবে। আগামী দিনে শ্রমিক সংগঠন শ্রমিক স্বার্থে আরও পদক্ষেপ নেবে এবং এদিনকার সমাবেশকে সফল করতে প্রখর রৌদেও এত লোক সমাগম হওয়ায় তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।