গোপাল সিং, খোয়াই, ০২ সেপ্টেম্বর ।। খোয়াই শহরে ৭ দিনব্যাপী জন্মাষ্টমী মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। মেলা নিয়ে জনগনের দ্বিমত নেই। কিন্তু জনগনের প্রশ্ন পুর পরিষদ এবং মেলার আয়োজকদের ভূমিকা নিয়ে। সুভাষপার্ক বিবেকানন্দ চৌমূহনী থেকে প্রায় অফিসটিলা জাম্বুরা চৌমূহনী পর্যন্ত দোকানীরা পসরা সাজিয়ে বসেন। চড়া দামে দোকান ভিটা ভাড়া নেন রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দোকানীরা। এবিষয়ে মেলা আয়োজকদের অভিমত পুর পরিষদকে ট্যাক্স দিতে হয়। কিন্তু জনগনের মতে পুর পরিষদ যদি ট্যাক্স নিয়ে থাকেন এবং মেলা কমিটিও ভাড়া আদায় করে থাকে তবে দায়িত্ব উভয়েরই। যে বিশাল এলাকা নিয়ে মেলা বসেছে মেলা শেষে রাস্তা-ঘাটের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার দায়িত্বও পুর পরিষদ এবং মেলা কমিটিরই। কিন্তু মেলা শেষে বিপুল পরিমান অর্থ আদায় হলেও শহরের সৌন্দর্য্য রক্ষার বিষয়ে কেউই আর ফিরে তাকালেন না। মেলা শেষ হওয়ার ৪৮ ঘন্টা পরেও রাস্তা-ঘাট আবর্জনা মুক্ত হলনা। পুর পরিষদের ডাষ্টবিনগুলি আবর্জনায় পূর্ণ হয়ে রাস্তার উপরই পড়ে রয়েছে। ড্রেনগুলিও পরিস্কার হয়নি। তবে সবচাইতে অবাক করার বিষয় হলো ‘গাছ লাগাও, প্রাণ বাঁচাও’ স্লোগানে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী যেখানে সরকারী কিংবা বেসরকারীভাবে আজ সারা রাজ্যে নিত্যদিনই ঘটে চলছে সেখানে খোয়াই শহরের উপর বন দপ্তর থেকে লাগানো গাছগুলি আজ কেন অস্তিত্ব সংকটে ভোগছে? চারা গাছগুলির প্রাণ রক্ষার্থে লোহার খাঁচা শহরের উপর রাস্তার পাশে লাগানো হয়েছিল। কিন্তু মেলার স্টলগুলি যেখানে যেখানে বসেছিল সেখানে সেখানে অনেকগুলি লোহার খাঁচাই মাটি থেকে উগড়ে ফেলা হয়েছে। যেখানে জনগনের টাকায় বৃক্ষরোপন কর্মসূচী সেখানে মুষ্টিমেয় কিছু লোকের জন্য এভাবে রাস্তা-ঘাট নুংরা করে এভাবে সরকারী সম্পত্তি বিনষ্ট করার অধিকার কে দিল? প্রশ্ন জনগনের। গোটা ঘটনায় মেলা কমিটি এবং পুর পরিষদের ভূমিকায় ক্রমশ: ক্ষোভ ধূমায়িত হচ্ছে জনমনে। পুর পরিষদ যদি ট্যাক্সই নেয় তবে আগামী বছর থেকে এই মেলা মাঠের ভেতর স্থানান্তরিত করার পরামর্শ জনগনের। তবেই শহরের সুন্দর পরিবেশ বজায় রেখে তা করা সম্ভব বলে মনে করছেন খোয়াইয়ের আপামর জনসাধারন।