দেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ০৮ সেপ্টেম্বর ।। নিরক্ষতা হচ্ছে জীবনের সবচাইতে বড় অভিশাপ। অক্ষর হচ্ছে আক্ষরিক অর্থেই জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নিঃশব্দ হাতিয়ার। নিরক্ষর জনগোষ্ঠী একটা দেশের অগ্রগতির প্রধান অন্তরায় পাশাপাশি অক্ষর জ্ঞান বিহীন মানুষ জীবনের প্রতি পদক্ষেপে প্রতারিত বঞ্চিত হয়ে থাকেন। ৮ই সেপ্টেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস, উদ্দেশ্য একটাই অশিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে স্বাক্ষর করার মধ্য দিয়ে জীবনের অন্ধকার দূর করা। রাজ্যেও আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, মূল অনুষ্ঠানটি হয় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে। উল্লেখ্য, ত্রিপুরা স্বাক্ষরতার দিক দিয়ে ভারতে নজীর সৃষ্টি করেছে। ২০১১ তে রাজ্যে স্বাক্ষরতার হার ছিল ৮৭ শতাংশ, সেই সময়ে ত্রিপুরার স্থান ছিল পঞ্চমে। ২০১৬ তে নিরন্তর প্রয়াসে স্বাক্ষরতার হার দাঁড়িয়েছে ৯৭ দশমিক ২২ শতাংশ। গোটা দেশে স্বাক্ষরতার প্রশ্নে ত্রিপুরা পঞ্চম থেকে প্রথমস্থানে উঠে এসেছে। রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবসের অনুষ্ঠানে উদ্বোধক রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার রাজ্যে স্বাক্ষরতার প্রশ্নে অভাবনীয় সাফল্যের বিষয়ে এই কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মূখ্যমন্ত্রী সহ উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তী, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র ডঃ প্রফুল্লজিৎ সিনহা, রাজ্যের মুখ্য সচিব যশপাল সিং, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি দিলিপ কুমার দাস, পশ্চিম জেলার জেলা শাসক মিলিন্দ রামটেকে সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে ১০ জন নব স্বক্ষরকে পুরস্কার দেয়া হয়।