প্রয়াত দশরথ দেব-এর পূর্ণায়ব মূর্ত্তি সহ জঙ্গলাকীর্ণ অবস্থায় খোয়াই দশরথ দেব মেমোরিয়াল কলেজ

college college-jpg1গোপাল সিং, খোয়াই, ১৩ সেপ্টেম্বর ।। জনশিক্ষা আন্দোলনের অন্যতম কর্ণধার তথা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত দশরথ দেব-এর নামাঙ্কিত খোয়াই কলেজের প্রবেশ পথে উনার পূর্ণাবয়ব মূর্ত্তিটি আজ জঙ্গলাকীর্ণ অবস্থার মধ্যে পড়ে আছে। যা রাজ্যবাসীর কাছে খুবই বেদনাদায়ক ঘটনা। যদিও খোয়াই শহরে অধিকাংশ মূর্ত্তিগুলিই চূড়ান্ত অবহেলার মধ্যে রয়েছে। রয়েছে রক্ষনাবেক্ষনের অভাব, রয়েছে পর্যাপ্ত আলোর অভাব। এভাবেই দূরাবস্থার মধ্যে শহরের উপর এবং আনাচে-কানাচে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে পড়ে রয়েছে জননেতা থেকে বিভিন্ন মণিষিদের মর্মর মূর্ত্তিগুলি। কিন্তু খোয়াইয়ের আপামর জনসাধারন এবং ছাত্র সমাজের অভিমত, খোয়াই শহরে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলার জনগন যাতায়াত করছেন এবং প্রায়শ:ই খোয়াইয়ের উন্নয়নমুলক কাজগুলি ঘুরে দেখেন। অথচ খোয়াই দশরথ দেব মেমোরিয়াল কলেজে লক্ষ লক্ষ টাকার ঘোটালার অভিযোগ। খেলার সামগ্রী ক্রয়, বিল্ডিং সংস্কার, রঙ করানো, কম্পিউটার ক্রয়, মাঠ সংস্কারের নামে ঘোটালার অভিযোগ রয়েছে। কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা এবিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রীর নিকট অভিযোগ জানিয়েছে। কিন্তু এর পরও ঘটনার সঠিক তদন্ত হচ্ছেনা। তদন্তকে ধীর গতিতে করিয়ে ঘোটালাবাজদের বাঁচানোর কৌশল অবলম্বন করছে বলে মনে করছেন জনসাধারন। তবে ছাত্র-ছাত্রীরা অভিযোগ জানিয়ে যখন কোন দ্রুত প্রক্রিয়া হচ্ছেনা, সেখানে শুধু জনসমক্ষে আনা ছাড়া জনগন কিংবা সংবাদ মাধ্যমের কি আর করার থাকতে পারে? তবে এবিষয়ে যে তদন্ত আর বেশি দূর এগুবে না তা অন্তত জনগন কিংবা কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরাও অনুমান করে নিতে পারছে।
যদিও জনগন ক্ষোভের সুরেই বলছেন, যেখানে লক্ষ লক্ষ টাকার ঘোটালা হচ্ছে সেখানে কি ঘোটালাবাজরা বছরে অন্তত দু-একবার জঙ্গল পরিষ্কার বাবদ দু হাজার টাকা খরচও করতে পারেনা? নাকি প্রয়াত জননেতার পূর্ণাবয়ব মূর্ত্তি জঙ্গলাকীর্ণ করে রেখে ঘোটালাবাজরা ঘোটালার সাক্ষী রাখছেন? কেননা কলেজ চত্বরে প্রবেশ পথেই প্রয়াত দশরথ দেব-এর পূর্ণাবয়ব মূর্ত্তিটি সবার নজরে আসে। ইদানিংকালে বিভিন্ন সেমিনার, অনুষ্ঠানে যোগ দিতে খোয়াই কলেজে পা রাখছেন বহু স্বনামধন্য ব্যাক্তিত্বরা। কলেজের সুনামও উত্তোরত্তোর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ত্রিপুরা রাজ্যে একটা সুনাম রয়েছে এই কলেজের। কিন্তু কলেজের প্রবেশ পথে যেমন, তেমনি ভেতরেও তথৈবচ অবস্থা। গোটা কলেজ চত্বরই জঙ্গলাকীর্ণ, নুংরা। বাদ যায়নি ডাষ্টবিনগুলিও। এভাবেই কি গড়ে উঠবে স্বচ্ছ ভারত? প্রশ্ন জনমনে।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*