ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত রয়েছে পর্যাপ্ত, ৩ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও রক্ত পেলেন না এক মহিলা

blood-bankগোপাল সিং, খোয়াই, ১৪ সেপ্টেম্বর ।। খোয়াই জেলা হাসপাতাল। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বেশ ঘটা করে জেলা হাসপাতালে ব্লাড চালু হয়েছে। নিত্যদিনই ব্লাড ব্যাঙ্কে কোনও না কোন সংস্থা, সংগঠন, সরকারী বা বে-সরকারী স্তরে রক্তদান শিবিরের মাধ্যমে খোয়াই জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত দেওয়া হচ্ছে। ‘রক্তদান মহৎ দান’। এই স্লোগানে আর্তের সেবায়, মুমুর্ষ রোগীদের জীবন বাঁচানোর তাগিদে রক্তদানে এগিয়ে আসছে সমাজের সকল অংশের, সকল স্তরের মানুষ। কিন্তু মঙ্গলবার খোয়াই ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকেই এক মহিলাকে শূণ্য হাতে ফিরতে হল।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, খোয়াই অফিসটিলা নিবাসী পুষ্পা ঘোষ নামে এক মহিলা মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা অবধি জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের সামনে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রইলেন। কি কারনে ? উনার এ-পজিটিভি রক্তের প্রয়োজন। সকাল থেকে দুপুর হয়ে গেলেও ব্লাড ব্যাঙ্কের ইনচার্জকে ফোন করেও পাওয়া যায়নি। টানা তিন ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর অবশেষে ফোনে পাওয়া গেল ব্লাড ব্যাঙ্কের ইনচার্জ সুদীপ বাবুকে। তিনি ততক্ষনে মহিলাকে ৭ দিন বাদে যোগাযোগ করার জন্য বললেন। অথচ খোয়াই জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের বোর্ডে স্পষ্টতই লিখা ছিল, এ-পজিটিভ রক্ত স্টোরে রয়েছে ১৩ খানা প্যাক। এটাই কি রক্তদান শিবিরের সাফল্য? এর জন্যই কি রক্তদান করা হচ্ছে? প্রশ্ন জনমনে।
এবিষয়ে ড. রনেন্দ্র বর্মনের সাথে মহিলার যোগাযোগ হলে তিনি এমএস ড. ধনঞ্জয় রিয়াংয়ের সাথে সাক্ষাৎ করে বলেন। প্রকৃতপক্ষে যে কারনে রক্তদান, সেই কারনটাই আজ উপেক্ষিত হল। শেষ পর্যন্ত মহিলার ছেলে রাজু ঘোষও নিজের ক্ষোভ ব্যাক্ত করেন। খোয়াই জেলা হাসপাতালের কর্মসংস্কৃতি নিয়ে ক্ষোভ নতুন কিছু না হলেও, ব্লাড ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রক্ত যদি সময় মতো রোগীর কাজেই না আসে তবে জনগন যাবে কোথায়? এনিয়েই জনমনে ক্ষোভ ধূমায়িত হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে ব্লাড ব্যাঙ্কের ইনচার্জের ভূমিকা নিয়েও।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*