গোপাল সিং, খোয়াই, ১৯ সেপ্টেম্বর ।। খোয়াই ডি.ডাব্লিউ.এস দপ্তর কি খোয়াইয়ের জনগনকে বিশুদ্ধ পাণীয় জল সরবারহ করছে? বাস্তব তথ্য বলছে একদমই না। কারন দপ্তর যে বেশীরভাগ এলাকায় পরিষেবা দিতেই ব্যার্থ বলে অভিযোগ উঠছে। খোয়াই পুর পরিষদ এবং খোয়াই ব্লক এলাকা সহ গ্রামাঞ্চলে একই দূর্দশা। বর্তমানে যিনি দায়ভার নিয়ে কাজ করছেন উনার রুক্ষতায় জনগন নাজেহাল। কোন প্রকার যোগ-অভিযোগ নিয়ে উনার সাথে কথা বলতে গেলে মনে হয় উনি অন্য কোন গ্রহ থেকে এসেছেন। উনি কাউকেই তোয়াক্কা করেন না বলে নিজেই ঘোষনা দেন। বলেন ‘আমি কাউকে কিছু বলতে পারবনা। কথা শুনব কি শুনব না বা সংবাদ মাধ্যমকে তোয়াক্কা নয়। যা খুশি লিখতে পারেন। কিছু যায় আসে না।’ সব সময়ই হুংকার। জনগনের অভিমত হতে পারে তিনি নানান সমস্যায় জড়িত। তা বলে এভাবে জনগনের সাথে কথপোকথন করার কোন কারন থাকার কথা নয়। তিনি প্রমোশন পাবার কথা দু’বছর আগেই। কিন্তু পাননি। এটা উনার দপ্তরের ব্যাপার। তিনি যখন দায়ভার নিয়ে খোয়াই এসেছেন এবং বাড়ীতে থেকে চাকুরী করছেন তখন জনগনের কথা ভাবা দরকার বলে মনে করেন জনসাধারন। তিনি ১৯৮৯-৯০ সালে বিশ্বব্যাঙ্কের প্রদত্ত টাকা ব্যয়ে তেলিয়ামুড়া চাকমাঘাট এলাকায় খোয়াই নদীর উপর বাঁধ নির্মানের দায়িত্বে ছিলেন। একাজে কি হয়েছিল তা খোয়াইবাসীর জানা ! খোয়াই পুর পরিষদের অন্তর্গত গনকী, লালছড়া, আংশিক সুভাষপার্ক, ঘোষপাড়া সহ চৌদ্দকানি এলাকা এবং গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় জলের জন্য কষ্ট করতে হচ্ছে জনগনকে। কিছু সুবিধাভোগী অবৈধভাবে মটর ব্যবহার করছেন এবং জল অপচয় করছেন। বিশেষ করে সরকারী কোয়ার্টার, অফিসগুলোতে জল অপচয় বেশী হচ্ছে। কিন্তু গোটা বিষয়ে উনাকে জানালে বলতে শুরু করেন, ‘দায়ভার ডি.ডাব্লিউ.এস. দপ্তরের নয়। দায়ভার পুর পরিষদের।’ খোয়াইতে যে জলের লাইন আছে ৫০০ পরিবার তা পেতে পারে। বর্তমানে প্রায় ২০০০ কানেকশন আছে। সুতরাং পরিষেবা এরকমই হবে। অথচ সারাইয়ের নামে যত সামান্য সারাই করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় জলের পাইপের ভেতর ময়লা-আবর্জনার পাহাড় জমে গেছে। ছবিতেই তা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। অনুমান করা যাচ্ছে সারাইয়ের অবস্থা। তাছাড়া প্রতিদিন নিয়মিত জল ছাড়া হয়না। যেদিন দেওয়া হয় খুব কম সময়ই দেওয়া হয়। কোনদিন দুই বেলা ৪০ মিনিট আবার ৩০ মিনিট। এভাবেই চলছে ডি.ডাব্লিউ.এস. দপ্তরের পরিষেবা। বেশীরভাগ কাজ এজেন্সি দিয়ে করানো হয়। খোয়াই শহরের অলি-গলি পথ লাইন সারাইয়ের নামে বিভিন্ন জায়গায় গর্ত করে ফেলে রাখা হচ্ছে। ঠিকঠাক মেরামত করা হচ্ছেনা। যার দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনগনকে। তাই ক্ষু্ব্ধ জনগনের দাবি যতদিন দপ্তরের কর্তা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছেন ততদিন জনগনের সাথে এভাবে কটুক্তি না করে ভাল কাজ করে জনগনকে পরিষেবা দেবার চেষ্টা যাতে করা হয়। এছাড়া জনসেবায় খোয়াই ডি.ডাব্লিউ.এস দপ্তরের প্রতি যেন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ একটু নজর দিয়ে রাখেন, এমনটাই দাবি খোয়াইয়ের জনসাধারনের।