গোপাল সিং, খোয়াই, ২০ সেপ্টেম্বর ।। খোয়াই পুর পরিষদ কর্তৃক নির্মিত আধুনিক শৌচালয় মাত্র ৬ দিন আগে উদ্বোধন হল। এই শৌচালয়ের দাবি দীর্ঘদিনের। খোয়াই নৃপেন চক্রবর্তী এভিন্যুতে খোয়াই-রাধানগর সড়কের পাশে নবনির্মিত এই শৌচালয়ের প্রয়োজনীয়তা শুধু খোয়াইয়ের নারী-পুরষ নির্বিশেষে সকল অংশের মানুষেরই নয়, এই দাবি কৈলাসহর, ধর্মনগর, আমবাসা, কমলপুর সহ বিভিন্ন জেলা বা মহকুমা থেকে খোয়াই শহরের উপর দিয়ে যাতায়াত করা সমস্ত যাত্রী এবং সাধারন মানুষেরও। কারন এই সমস্ত স্থানের মানুষজন আগরতলা যেতে খোয়াই-রাধানগর সড়কটিকেই ব্যবহার করেন। কারন অতি অল্প সময়ের মধ্যেই রাজধানী পৌছানো যায়। তাই প্রতিদিনই যানবাহনগুলি এই সড়কের পাশে কিছুক্ষনের জন্য দাঁড়ায়। এতদিন এই স্থানে কোন শৌচালয় না থাকায় বেকায়দায় পড়তে হতো বিশেষ করে মহিলাদের। জাগরন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের উপর ভিত্তি করে প্রয়াত বিধায়ক সমীর দেবসরকারের তৎপরতায় এই আধুনিক শৌচালয়ের নির্মান কাজ শুরু হয়। আবার নির্মান কাজ শুরু হবার পরও ত্রুটি দেখা দেয়। দেখা যায় এক দরজা রেখে শৌচালয় নির্মান করায় মহিলাদের বিশেষ অসুবিধার সম্মুখিন হতে হতো। কিন্তু জাগরন পত্রিকায় পুনরায় এবিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় বিষয়টি খতিয়ে দেখে পৃথক দরজা নির্মানের বিষয়ে তৎপর হন প্রয়াত বিধায়ক সমীর দেবসরকার। তারপরই নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়। গত ১৪ সেপ্টেম্বর সংবাদ মাধ্যমকে ব্রাত্য রেখেই এই শৌচালয়ের উদ্বোধনও হয়ে গেল। কিন্তু তারপরও জনস্বার্থে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। কারন ইতিমধ্যে ঘটনা অন্যদিকে মোড় নিয়েছে। আধুনিক শৌচালয় উদ্বোধনের দিন থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত জলের ব্যবস্থা না থাকায় এই শৌচালয় জনগনের ব্যবহারে আসেনি। জলের কোন ব্যবস্থা নেই। এই শৌচালয়ের যিনি দায়িত্বে থাকবেন উনার বসার কোন ব্যবস্থাও নেই। পুরো কাজটাতেই অনেক ত্রুটি রয়েছে। সব ত্রুটির দায় যাচ্ছে পুর পরিষদের ইঞ্জিনিয়ারের দিকে। কিন্তু জনগন চাইছেন যোগ-অভিযোগ না করে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করা হউক। নয়তো মুখ পুড়বে জনগনেরই।