পুষ্প অর্পণে শ্রদ্ধা জাতিরজনক এবং লালবাহাদুর শাস্ত্রীকে

mlদেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ০৩ অক্টোবর ।। বিশ্বজুড়ে শান্তিকামী মানুষের স্বাধীনতা আন্দোলনের মূর্তপ্রতীক মহাত্মা গান্ধী। ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসানে শুধুমাত্র অহিংসার মন্ত্রে স্বাধীনতা উন্মুখ কোটি কোটি মানুষের কাছে অমোঘ শক্তির কেন্দ্র বিন্দু ছিলেন গান্ধিজী। মুহূর্তের আহ্বানে লক্ষ  লক্ষ মানুষ জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরন করে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন আন্দোলন সংগ্রামে। স্বল্প ভাষি, স্বল্প বসন আর লাঠি হাতে মহাত্মা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে স্বক্রিয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার আগে দেশের স্বাধারন শ্রমজীবি, কৃষকদের সংগঠিত করে তৃণমূলস্তরে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন স্বাধীনতা আর মুক্তির সংগ্রামের বার্তা। জাত, পাত, অস্পৃশ্যতার নামে দেশবাসীকে বিভক্ত করার ব্রিটিশের কূটচালের বিরুদ্ধে তীব্র সংগ্রাম গড়ে তোলেন গান্ধীজী। সাদাসিধে গান্ধীজী ছিলেন স্বাধীনতার সুপ্ত আগ্নেয়গিরি – ব্রিটিশের মতো পরাশক্তিকে যিনি অনায়াসেই হুমকি দিয়ে বলেছিলেন – QUIT INDIA. বুলেটের বিরুদ্ধে বুক পেতে জীবন উৎসর্গের মন্ত্রে উত্তাল হয়ে উঠে দেশ মহাত্মার কল্যানে। অহিংসা আর শান্তির পথে আন্দোলনের ক্রমাগত ঢেউ আছড়ে পড়ে পরাধীন ভারতবর্ষে – মহাত্মার সঞ্জিবনি মন্ত্রে। অবশেষে ভারত ব্রিটিশ শাসনের শৃঙ্খল মোচন করে অর্জন করে কাঙ্খিত স্বাধীনতা। পৃথিবীতে যেখানেই স্বাধীনতার আন্দোলন সেখানে মানুষের কাছে মুক্তির দিশারী মহাত্মা গান্ধী। ২রা অক্টোবর ১৮৬৯ সালে গুজরাটের পোরবন্দরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন গান্ধীজী। রবিবার গোটা পৃথিবীর স্বাধীনতাকামী মানুষ বিনম্র শ্রদ্ধার পুষ্প অর্পণে শ্রদ্ধা জানিয়েছে জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীকে – ভারতবর্ষে জাতির পিতার জন্মদিনেই আরো এক স্বাধীনতার বীর সন্যাসী লালবাহাদুর শাস্ত্রীকেও স্মরণ করেছে ভারতবর্ষের মানুষ।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*