ঘটনার বিবরনে জানা যায়, সপ্তমীর রাতে নিজের বাইক নিয়েই আমপুরা ভিলেজ থেকে পন্ডিতরাম পাড়া ভিলেজে গিয়েছিল রুনাল দেববর্মা নামে বছর পঁচিশের উপজাতি যুবকটি। রুনালের সাথে আরও দুজন বন্ধু ছিল। তারা হল প্রকাশ দেববর্মা (২৮) এবং উজ্জ্বল দেববর্মা (২৯)। পুলিশ সূত্রে খবর, ৮ই অক্টোবর আনুমানিক ভোর ৩টা নাগাদ রুনালের পিতা গিরিন্দ্র দেববর্মার কাছে এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবক ফোন করে বিষয়টি জানায়। ফোনে বলা হয় উনার ছেলে আহত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে পিতা গিরিন্দ্র দেববর্মা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং অজ্ঞান অবস্থায় ছেলেকে সেখান উদ্ধার করে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রুনাল দেববর্মাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। চিকিৎসকরা জানান যে, রুনালের শরীরে একের অধীক ছুরির আঘাত রয়েছে। ছুরির আঘাতেই রুনালের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনা আসলে কোন দূর্ঘটনাই নয়, বরং পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে রুনালকে। পুলিশ পরবর্তী সময় রুনালের সঙ্গে থাকা দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করে খোয়াই আদালতে তুলে এবং রিমান্ড চায়। কিন্তু খোয়াই আদালত প্রকাশ এবং উজ্জ্বল দেববর্মার রিমান্ড মঞ্জুর করেনি। বরং প্রকাশ এবং উজ্জ্বলকে কি কি তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তার জবাব চায় আদালত। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশ এবিষয়ে কোন তথ্য আদালতে দাখিল করতে পারেনি।
অপরদিকে পুলিশ কর্তৃক ধৃত দুই যুবক প্রকাশ ও উজ্জ্বল দেববর্মার বক্তব্য, তারা দুজনেই নির্দোষ। বরং তারাই ছুরিকাহত রুনালকে হাসপাতালমুখী করে বলে জানায়। সেই সাথে তারা স্বীকার করে নেয় যে তাদের সামনেই কতিপয় যুবক বাইক নিয়ে এসে রুনাল দেববর্মাকে খুন করেছে। কিন্তু তাদের কাউকেই প্রকাশ এবং উজ্জ্বল সনাক্ত করতে পারেনি। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে তারা কোন বাইকের নম্বরই নো্ট করতে পারেনি বলে জানায়।
এদিকে অজ্ঞাত পরিচয় খুনী যুবকদের পাকড়াও করতে পুলিশ তল্লাসী চালিয়ে যাচ্ছে। তবে পুলিশি তদন্ত কতদূর এগিয়েছে কিংবা সপ্তমীর শেষ রাতে যে ফোন কলটি এসেছিল মৃত রুনালের পিতা গিরিন্দ্র দেববর্মার কাছে, সেই সূত্র ধরে পুলিশ কতটুকু এগিয়েছে তার কোন কিছুই এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি। তবে খোয়াই থানার পুলিশ তদন্ত জারি রেখেছে এবং খুব শীঘ্রই মুল অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হবে বলে আশ্বাসের বানী শুনিয়েছে খোয়াই থানার পুলিশ।