জাতীয় ডেস্ক ।। গত মঙ্গলবার এরকম বিকেলেই দুর্গাপুর এক্সপ্রেসের ওপর দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন। ঠিক এক সপ্তাহ পর বেলভিউতে অস্ত্রোপচার হল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে মোট তিনধাপে এই জটিল অস্ত্রোপচার করা হয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে। গাড়ি দুর্ঘটনায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাঁদিকের অরবিট বোন অর্থাৎ চোখের নীচের এই হাড় ভাঙে। এদিন দুপুর সাড়ে বারোটায় অভিষেককে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। অস্ত্রোপচার জটিল, তাই ফুল অ্যানেস্থেশিয়া করা হয়। সার্জারি হয় মূলত তিনটি ধাপে। অভিষেকের চোখে সামান্য কিছু আঘাত ছিল। প্রথমে তা ঠিক করতে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর শুরু হয় অস্ত্রোপচারের সবথেকে জটিল অংশ। অভিষেকের ভাঙা অরবিট বোন সারাতে একটি টাইটেনিয়ামের প্লেট বসান অরবিট সার্জেন এবং ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জেনরা। অস্ত্রোপচারের ফলে যাতে গালে কোনও গভীর কাটা দাগ না থাকে, সেজন্য নিখুঁতভাবে অস্ত্রোপচারের তৃতীয় ধাপ সম্পন্ন করেন প্লাস্টিক সার্জেন এবং ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জেনরা। বেলভিউ সূত্রে খবর, এই অস্ত্রোপচারের জন্য চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৈরি করা হয় একটি বিশেষজ্ঞ দল। তাতে ছিলেন অরবিট সার্জেন অনির্বাণ ভাদুড়ি ও সঞ্চিতা রায়। ম্যাক্সিলো ফেসিয়াল সার্জেন অমিত রায় ও কমলেশ্বর কোঠারি। প্লাস্টিক সার্জন রাজেন টন্ডন। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ মনোতোষ পাঁজা ও এসবি রায়, রেটিনা বিশেষজ্ঞ অভিজিত্ চট্টোপাধ্যায় ও এস পি দাস এবং অ্যানাস্থেসিস্ট তাপস চক্রবর্তী ও চন্দ্রিমা গঙ্গোপাধ্যায়। বিকেল চারটেয় শেষ হয় অস্ত্রোপচার। অপারেশন থিয়েটার থেকে বার করে প্রথমে অভিষেককে কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। জ্ঞান ফিরলে তাঁকে জেনারেল বেডে দেওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচার সফল। অ্যানেস্থেশিয়ার কারণে অভিষেকের সামান্য আচ্ছন্নভাব রয়েছে। তবে তাঁকে কোনও সাপোর্ট অর্থাৎ অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ অভিষেককে দেখতে হাসপাতালে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।