খালি টেবিল-চেয়ার সাক্ষী হিসাবে কর্তব্য করছে খোয়াই জেলা হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে, ভিডিও ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়

khwগোপাল সিং, খোয়াই, ০৪ নভেম্বর ।। খোয়াই জেলা হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগের বৃহস্পতিবার রাত ২টার ছবি ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। এই ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখতেই একে অপরের মোবাইল ফোনে উঁকিঝুকি দিচ্ছেন নবীন থেকে প্রবীন। ঘটনার সত্যতা নিয়ে কারোরই কোন দ্বিমত নেই। খোয়াইবাসী এবিষয়ে একপ্রকার ভোক্তভোগী।
খোয়াই জেলার একাংশ সরকারী কর্মচারীরা অপ-কর্মসংস্কৃতিতে বেশ মনযোগ দিয়েছেন। কারন একটাই। বর্তমানে রাজনৈতিক অভিভাবক শূণ্যতা। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে চলছে অপ-কর্মসংস্কৃতির ধূম। জনগন নাজেহাল। আর সবচাইতে বেশী জনগনের প্রয়োজন চিকিৎসা পরিষেবা। বিশেষ করে একাংশ কর্মচারী স্বাস্থ্য দপ্তরকে কলুসিত করার প্রয়াসে মগ্ন। খোয়াই জেলা হাসপাতালে বর্তমানে ৮০ শতাংশ আধুনিক চিকিৎসা সামগ্রী দ্বারা চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা থাকলেও যোগ-সাজশে প্রাইভেট চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় সাধারন জনগনকে। ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন খোয়াই জেলা হাসপাতালেই মজুত থাকলেও বিগত ৯ মাস যাবত তা বসানো হচ্ছেনা। প্যাথলজি, সোনোগ্রাফি এবং ওষুধ, সব কিছু থেকেও নেই। বর্তমানে রাতে ডিউটিতে কাউকে পাওয়া যায়না। অথচ ইমারজেন্সি বিভাগ যেখানে সবসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক বা অন্যান্য কর্মী থাকার কথা। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনা আবারো খোয়াই জেলা হাসপাতালের কর্ম-সংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলল। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতেই স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ঘড়িতে তখন রাত দুটো। খোয়াই জেলা হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে গিয়ে দেখা যায় মশা-মাছিও নেই। কেউ নেই। খালি টেবিল-চেয়ার সাক্ষী হিসাবে যার যার স্থলে কর্তব্য করছে। অনেক খোঁজ খবর করার পর দেখা যায় কেউ ঘুমিয়ে, কেউ আড্ডায় মশগুল। প্রায় ২৫ সেকেন্ডের ভিডিওতেই গোটা চেহারা স্পষ্ট হয়ে উঠে। ভিডিওটি এক সজ্জন ব্যাক্তি সোশাল মিডিয়ায় তুলে ধরেন। এরপর থেকেই সোশাল মিডিয়ায় ঝড় উঠতে শুরু করে। খোয়াইতে এনিয়ে গুঞ্জন অব্যহত। জনগনের দাবি অতিসত্বর খোয়াই জেলা হাসপাতালের হারিয়ে যাওয়া কর্মসংষ্কৃতি ফিরিয়ে আনতে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করুক স্বাস্থ্য দপ্তর ও প্রশাসন। খোয়াইতে উক্ত ঘটনাকে ঘিরে জনমনে ব্যাপক গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।
FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*