ওয়েব ডেস্ক ।। পুজো চলে যেতেই বাতাসে শীত শীত ভাবে। হেমন্তকাল এসে গিয়েছে স্বমহিমায়। শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গেই নিয়ে এসেছে অবসাদ, জ্বর, ক্লান্তি, সর্দি। অল্পবিস্তর ভুগছেন সকলেই। জেনে নিন কীভাবে সুস্থ থাকবেন এই সময়।
খাওয়া দাওয়া
১. ডায়েটে রাখুন সবজি ও ফল-
যেহেতু আমাদের দেশে বছরের বেশিরভাগ সময়টাই গরম থাকে, তাই হেমন্তকালে শীত পড়ার ঠিক আগে শরীরের পক্ষে আবহাওয়া পরিবর্তন মানিয়ে নিতে সময় লাগে। খুব সহজেই এই সময় ঠান্ডা লেগে যায়। তাই ডায়েটে রাখুন ভিটামিন সি। সবুজ শাকসবজি ও ফলের পরিমান বাড়িয়ে দিন। গাজর, বিট, কড়াইশুটি, পালংশাক প্রভৃতি শীতের সবজি বেশি করে খান।
২. জল বেশি খান-
আবহাওয়া হঠাত্ শুষ্ক হয়ে গেলে আমাদের শরীরেও প্রভাব পড়ে। ত্বক শুষ্ক হয়ে গিয়ে টান ধরে। তাই এই সময় জল খাওয়ার পরিমান বাড়ানো উচিত্। বেশি করে জল খেলে ঘুম ঘুম ভাব কেটে তরতাজা লাগবে।
৩. ঘুমের আগে দুধ খান-
এই সময় ঘুমের আগে হালকা গরম দুধ খেতে পারলে খুব ভাল। শরীর গরম থাকবে, ঘুম ভাল হবে। পারলে দুধের মধ্যে ১ চামচ মধু দিয়ে খান। ঠান্ডা লাগবে না।
৪. গরম, টাটকা খাবার খান-
এই সময় বাতাসে ধুলোবালির পরিমান বেশি থাকায় খাবার বেশিক্ষণ ফেলে না রাখাই ভাল। টাটকা খাবার খেলে শরীর ভাল থাকবে। একইভাবে গরম খাবারও শরীরের পক্ষে এই সময় উপযোগী। শুষ্ক ভাব কাটিয়ে শরীর গরম রাখবে।
৫. ব্রেকফাস্ট-
প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট এই সময় খুব জরুরি। এতে শরীর চাঙ্গা থাকবে ফলে রোগ কম হবে। ব্রেকফাস্ট প্রতিদিন ঠিকমতো করলে সারাদিনের খাওয়াও ঠিকঠাক হয়। শরীর সুস্থ থাকে, মেজাজও ভাল থাকে।
শরীরের যত্ন
১. হাত পা-
আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় বাতাসে ভাইরাসের আধিক্য থাকায় সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়। হাত, পা শুষ্ক হয়ে যাওয়ায় ভাইরাস তাড়াতাড়ি আক্রমণ করে। তাই এই সময় বাইরে থেকে এসে ভাল করে হাত, পা, মুখ ধোয়া খুব জরুরি। পারলে হালকা গরম জলে অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে ভাল করে হাত, পা ধুয়ে নিন।
২. স্নান-
একেবারে ঠান্ডা জলে স্নান না করে ইষদোষ্ণ জলে স্নান করলে ঝরঝরে লাগবে। অসুস্থও হবেন না। তবে আলসেমি করে স্নান বাদ দেবেন না কোনওদিন। এতে শরীর আরও শুষ্ক হয়ে সারাদিন ক্লান্ত লাগবে।
৩. ঘুম-
আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় শরীরে স্বাভাবিক নিয়মেই ক্লান্তি আসে। ক্লান্তি কাটাতে ঘুমের বিকল্প নেই। তাই বেশি রাত না জেগে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমনোর করুন। এতে অনেক বেশি সুস্থ থাকবেন। এই সময় শরীরের ঘুমের প্রয়োজন।
৪. এক্সারসাইজ-
এই সময় সকালে ঘুম থেকে উঠতে আলস্য আসে। আলস্য কাটাতে হালকা এক্সারসাইজের কোনও বিকল্প নেই। অনেক সময় আবাহাওয়া পরিবর্তনের জন্য মন, মেজাজও অনেক সময় খারাপ থাকে। এক্সারসাইজ করলে মনও ভাল থাকবে। আর সুস্থ শরীর, ভাল মনে রোগের সংক্রমণও অনেক কম হয়।
সৌজন্যে জি নিউজ।