হাইকোর্টের আদেশকে অমান্য করে জিবি হাসপাতালের নুংরা-পুঁতিময় শৌচালয়ে চলছে অরাজকতা

sulavগোপাল সিং, খোয়াই (আগরতলা থেকে ফিরে), ০৫ ডিসেম্বর ৷৷ ত্রিপুরা রাজ্যের গরীব-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের প্রতিদিনকার সরকারী সুযোগ-সুবিধার নামে হয়রানী, লাঞ্ছনা, অপমানের খবর রাখেন না রাজ্যের মন্ত্রি-আমলারা। শুধু বিজ্ঞাপন আর মিছিল-মিটিং, মিথ্যা প্রতিশ্রুতির বুলি চলে। কিভাবে রাতের পর রাত, দিনের পর দিন রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমা বা জেলা থেকে আসা গরীব মানুষ রাজধানীর জিবি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে ব্যাগ ভর্ত্তি করে টাকা না নিলে বাবুর বাড়ীর সারমেয় থেকে খারাপ অবস্থা হয় তারও খোঁজ রাখেন না। কি সমস্যা ? কিভাবেই বা নাজেহাল হন ত্রিপুরার জনসাধারন ?
 
১। জিবি হাসপাতালের সিকিউরিটি গার্ড।
২। প্রায় সেবক-সেবিকা।
৩। প্রায় ডাক্তার বাবু।
৪। প্রায় ড্রেসার।
৫। ওষুধ।
৬। কেন্টিন।
৭। জননী সুরক্ষা সহ নানান প্রকল্প।
৮। চোরের দল।
৯। অসভ্য ব্যবহার – প্রবীন ও নবীনদের সাথে।
১০। যেকোন সার্টিফিকেট।
১১। গাড়ী।
১২। শৌচালয়।
 
এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ১২টি সমস্যা নিত্যদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি মানুষকে ভোগ করতে হয়। আজ শুধু ১২নং পয়েন্ট অর্থ্যাৎ শৌচালয় নিয়ে বিস্তারিত তোলে ধরা হল।
বর্তমানে হাইকোর্টের নির্দেশে কোন মহিলা থেকে ইউরিন পয়েন্টের জন্য টাকা নেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু জিবি হাসপাতালের শৌচালয়ে ৩ টাকা এবং ৫ টাকা রাখা হয়। ভাল টয়লেটে গেলে ১০ টাকা এবং নুংরা-পুঁতিময় টয়লেটে গেলে ৫ টাকা রাখা হয়। জিনিষপত্র চুরি হলে কর্তপক্ষ দায়ী থাকেনা। প্রায় শৌচালয় থেকেই চুরি হয়। বিশেষ করে মহিলাদের বেশী লাঞ্ছনা সহ্য করতে হয়। যার ফলে মা-বোনেদের বারবার ইউরিন পয়েন্টে যেতে হলে খুচরো নিয়ে চলতে হয়। এক ধরনের বৈজ্ঞানিক রিগিং চলছে। যার ফলে শৌচালয়ে চলছে অরাজকতা। প্রায় প্রতিদিন জিবি হাসপাতালে রাত্র ১১টার পর থেকে জল থাকেনা। যেকারনে রোগী এবং আত্মীয় পরিজনদের কাপর-চোপর নিয়ে শৌচালয়ে যেতে হয়। সেখানে মর্জিমাফিক কর বসানো হয়। এত পুরনো নুংরা পুতিময় শৌচালয় রাজ্যে আর আছে কিনা প্রশাসনের কর্মকর্তারাই বলতে পারেন। সব উন্নিত হলেও জিবি হাসপাতালের মান্ধাতা আমলের শৌচালয়ের পরিবর্তন নেই। জনগনের অভিযোগ কোন আমলা বা মন্ত্রির পরিবার শৌচালয় ব্যবহার করেনা। গরীব মানুষরাই ব্যবহার করেন। ভিভিআইপিদের জন্য জিবি হাসপাতালের ভেতরে সর্ব সুবিধা পাওয়া যায়। সুতরাং উনারা গরীব মানুষের দু:খ-দুর্দশা বুঝবেন না। মান্ধাতা আমলের শৌচালয় পরিবর্তন করে নুতন একটি শৌচালয় তৈরী করার দাবি জনসাধারনের। সেই সাথে পরিসেবা উন্নিত করারও দাবি জানানো হয়েছে। তাছাড়া অচিরেই আমলা-কর্তারা যেন গোপনীয়ভাবে শৌচালয় পরিদর্শন করে এই রহস্য ভেদ করেন সেজন্যও দাবি জানানো হয়েছে। তবেই সমস্যার সমাধান বলে মনে করছেন রাজ্যের গরীব-শ্রমিক-মেহনতি মানুষরা।
FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*