চোখের জলে ‘আম্মা’কে চিরবিদায়, পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হল শেষকৃত্য

jayalalitaa jayalalitaa-jpg1জাতীয় ডেস্ক ৷৷ চোখের জলে ‘আম্মা’কে চিরবিদায়। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হল জয়ললিতার। চেন্নাইয়ের প্রাণকেন্দ্রে রাজাজী হল থেকে মেরিনা বিচ। অনুরাগীদের বুকফাটা হাহাকার, কান্নার মধ্য দিয়ে সমাহিত করা হল তামিলনাড়ুর প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীকে। সমুদ্র-তীর তখন আম্মা ভাজগা (আম্মা অমর রহে) ধ্বনিতে ভেসে গিয়েছে। এর আগে জননেত্রীকে গান স্যালুট জানানো হয়। অন্ত্যেষ্টির সমস্ত ধর্মীয় প্রথা সম্পন্ন হওয়ার পর সন্ধে ৬ টা নাগাদ জয়ললিতার মরদেহবাহী চন্দনকাঠের বাক্স মাটিতে সমাধিস্থ করা হয়।কফিনে লেখা ছিল পুরুতচি থালাইভি। জয়ললিতা ব্রাহ্মণ! কিন্তু এদিন সমাধিস্থ করা হয় তাঁকে! কারণ, চেন্নাইয়ের এই মারিনা বিচে সমাধিস্থ করা হয়েছিল আরও দু’জনকে! একজন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আন্নাদুরাই, ডিএমকে-র প্রতিষ্ঠাতা। অপরজন জয়ললিতার মেন্টর এমজি রামচন্দ্রণ। জীবনের প্রতিটি পদে পদে কার্যত যাঁর হাত ধরে চলেছেন, মৃত্যুর পরও সেই এমজিআর-এর পাশেই রয়ে গেলেন জয়ললিতা। এমডি রামচন্দ্রন স্মারকের কাছে এআইএডিএমকে নেত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী শশীকলা এবং ভাইপো দীপক। মাটিতে ছড়িয়ে দেওয়া হয় চন্দন কাঠ ও ফুলের পাপড়ি। তারপর সমাধিস্থ করা হয় জয়ললিতাকে। কুসুমশয্যায় চিরবিলীন হয়ে গেল প্রয়াত নেত্রীর দেহ। শেষ কৃত্যের আগে জয়ললিতাকে অন্তিম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাজ্যপাল সিএইচ বিদ্যাসাগর রাও, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু, কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী সহ বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার সকালে পোয়েজ গার্ডেনের বাড়ি থেকে প্রয়াত নেত্রীর দেহ নিয়ে আসা হয় চেন্নাই শহরের প্রাণকেন্দ্রে রাজাজী হলে। পরনে প্রিয় সবুজ রঙের শাড়ি। চার সেনাকর্মী তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর দেহ ঢেকে দেন জাতীয় পতাকায়। শ্রদ্ধা জানান নতুন মুখ্যমন্ত্রী পনিরসেলভম ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা। কফিনে লেখা ছিল পুরুতচি থালাইভি। এদিন জয়ললতিতাকে অন্তিম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সকালে পোয়েজ গার্ডেনের বাড়ি থেকে প্রয়াত নেত্রীর দেহ নিয়ে আসা হয় চেন্নাই শহরের প্রাণকেন্দ্রে রাজাজী হলে। পরনে প্রিয় সবুজ রঙের শাড়ি। চার সেনাকর্মী তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর দেহ ঢেকে দেন জাতীয় পতাকায়। শ্রদ্ধা জানান নতুন মুখ্যমন্ত্রী পনিরসেলভম ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এদিন জয়ললতিতাকে অন্তিম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। কলকাতা থেকে জয়ার উদ্দেশে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পোয়েজ গার্ডেনে জয়ললিতার প্রতিবেশী রজনীকান্ত হোক কিংবা বিগত যুগে বলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী বৈজয়ন্তীমালা, জয়ললিতার নিথর দেহ দেখে সবারই চোখ ছলছল। বিকেলে রাজাজী হল থেকে সেনাবাহিনীর বিশেষ গাড়িতে যখন চেন্নাইয়ে মেরিনা বিচে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জয়ললিতার দেহ, তখন রাস্তায় উপচে পড়া ভিড়। চারদিক থেকে শুধু ফুল উড়ে আসছে, একটা পাপড়িও যদি পৌঁছয় আম্মার কাছে। মাত্র তিনকিলোমিটার দূরত্বের শেষযাত্রায় সময় লেগেছে একঘন্টারও বেশি। সমগ্র পথজুড়ে কাতারে কাতারে দাঁড়িয়ে অনুরাগী-গুণমুগ্ধরা। প্রিয়নেত্রীকে শেষবারের মতো একবার চোখের দেখা দেখতে ভিড় উপচে পড়ে। চোখের জলে সিক্ত হয়েছে পথ। জনসমুদ্রে সওয়ারি হয়ে জাতীয় পতাকায় মোড়া অজস্র ফুলে ঢাকা জয়ললিতার দেহবাহী ফুলে ফুলে ঢেকে থাকা গাড়ি পৌঁছয় মেরিনা বিচে। দুধ ও পবিত্র জল ছড়ানো হয় প্রয়াত সেখানেই সমাধিস্থ করা হয় জয়ললিতাকে। মেরিনা বিচে সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে অবসান ঘটল ভারতীয় রাজনীতির এক অধ্যায়ের। তারকা তারা হয়ে গেলেন। রয়ে গেল তাঁর রূপকথার জীবন।তাঁকে ঘিরে হাজারো বিতর্ক,আর তাঁর কোটি কোটি গুণমুগ্ধ! আলবিদা আম্মা।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*