পেটব্যথার গোপন দিক

3506_1স্বাস্থ ও সচেতনতা ডেস্ক ।। গবেষকদের পরামর্শ হচ্ছে, যাদের পেটের গণ্ডগোল তাদের উচিত কার্বোহাইড্রেড পরিহার করে চলা। অনেক লোক আটা খান কিংবা খাবারে ল্যাকটোজ যোগ করেন এই আশায় যে, এর ফলে তাদের পেটের ব্যথা সারবে। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, আইবিএস তথা ইরিট্যাবল বাউল সিনড্রোম চিকিৎসা খুব কমই সহজ।

আইবিএস রোগীদের বেশির ভাগেরই উচিত এক শ্রেণীর কার্বোহাইড্রেড পরিহার করা। এসব কার্বোহাইড্রেডকে চিহ্নিত করা হয়েছে FODMAP (fermentable oligosaccharides, disaccharides, monosaccharides, and polyols) ) নামে। এ তথ্য আমাদের জানিয়েছেন মেলবোর্ন পথ্যবিদ (ডায়েটিশিয়ান) FODMAP Dietবইয়ের লেখক ড. স্যু শেফার্ড। এই মহিলা তার গবেষণায় দেখেছেন, ৭৫ শতাংশ রোগীর আইবিএস সিম্পটমের উন্নয়ন ঘটেছে, যারা এই গবেষণার সময় আপেল, পেয়ারা, স্টোন ফুড অর্থাৎ বীচি বা আঁটিযুক্ত ফল, ফলের রস, তরমুজ, বাঁধাকপি, পেঁয়াজ, রসুন, মাশরুম, সেলারি শাক ও মটরশুঁটি খাওয়া থেকে বিরত থাকেন।

ড. স্যু শেফার্ড বলেছেন যাদের আইবিএস সিমটম রয়েছে, তাদের ফুড ইনটলারেন্সে অভিজ্ঞ কোনো ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নেয়া উচিত। এদের খাবারে পর্যাপ্ত ফাইবার ও পুষ্টি বজায় রেখে কম মাত্রার FODMASডায়েট পরিকল্পনায় দক্ষতা রয়েছে।

ইতালিতে পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, খাবারের দুই ঘণ্টা আগে একটি পিপারমেন্ট ট্যাবলেট খেলে আইবিএস সিমটমের উন্নয়ন ঘটে।

বলিচিহ্ন, চামড়ার আরো গভীরে
চামড়ার ভাঁজ বা বলিচিহ্ন নিশ্চিতভাবেই বয়স বেড়ে যাওয়ার একটি লক্ষণ। এ থেকে এ-ও বোঝা যায়, আপনার স্বাস্থ্য অবনতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ইয়েল স্কুল অব মেডিসিনের গবেষকেরা তাদের গবেষণায় দেখতে পেয়েছেন, যেসব মহিলার মাসিক একটু আগে থেকেই শুরু হয় এবং যদি তাদের বলিচিহ্ন গভীর হয়, তবে তাদের হাড়ের ঘনত্বও কম থাকে। ফলে তাদের হাড়ের ওজনও কম হয়। চামড়া ও হাড়ের অবদান আছে শরীরের সাধারণ বিল্ডিং ব্লক প্রোটিন ‘টাইপ ওয়ান কলাজেন’ তৈরিতে।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে এর পরিমাণ কমে যায়। এ তথ্য জানিয়েছেন এই সমীক্ষা রিপোর্ট প্রণেতা ড. লুবনা পাল। তিনি বলেন, চোখের পাতার ওপরের বলিরেখা ও নাকের ওপর আনুলম্বিক বলিরেখা হচ্ছে হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়ার বড় পরিচায়ক।

এ ব্যাপারে আরো দীর্ঘমেয়াদি পরীক্ষা চালানো দরকার। তবে এটি স্পষ্ট, চামড়ার বলিরেখা থেকে জানা যায় হাড়ের অবস্থা কেমন আছে বলছেন লুবনা পাল।

একগুঁয়েমি দূর করুন
পুরনো সব কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছেন? নিজের মধ্যে একগুঁয়েমি একটা ভাব সৃষ্টি হয়েছে? তাহলে এই একগুঁয়েমি কাটাতে নিচে উল্লিখিত সুপ্রমাাণিত উপায়গুলো অবলম্বন করুন। একগুঁয়েমি দূরে সরিয়ে দিন।

কমপক্ষে সপ্তাহে একবার পুরনো কোনো বন্ধুর সাথে এক ঘণ্টা সময় কাটান। একটি ব্রিটিশ সমীক্ষায় দেখা গেছে, এর ফলে মহিলাদের মনমরা ভাব কমে যায় ৬৫ শতাংশ।

হাসুন। প্রাণী ও উদ্ভিদবর্গের জীবনধারা-বিষয়ক বিজ্ঞান শারীরবৃত্ত বা ফিজিওলজি আমাদের জানিয়েছে, হাসি মানুষকে সুখবোধ করতে সহায়তা করে। হাসার জন্য সাহায্যের প্রয়োজন হলে কোনো হাসির বই পড়তে পারেন। অথবা দেখতে পারেন হাসির সিনেমা।
পরিকল্পনা করে গ্রাম এলাকায় একটা দিন পায়ে হেঁটে ঘুরে আসুন। অথবা সাইকেলে চড়ে ঘুরে আসুন। কাজ ও প্রকৃতির সম্মিলন আপনার মন ভালো করায় ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টি করবে।
ক্রমাগত লেগে থাকুন। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, লোকেরা রোগ নির্ণয় ক্লাসে যোগ দিয়ে মাত্র ছয় সপ্তাহ পর তাদের মনমরা হতাশার ভাব কাটিয়ে মনকে সতেজ ও সবল করতে সক্ষম হয়েছে।

আপনার জীবনসাথী কিংবা কোনো বন্ধুর কাছ থেকে নিয়মিত বার্তা পেলে আপনার মনে আপনা-আপনি এক ধরনের সতেজ ভাবের জন্ম নেবে। গবেষকদের বিশ্বাস, এ ধরনের বার্তা সেরোটনিয়ান লেভেলের উন্নয়ন ঘটায়।

এ সবের কিছুই যদি কোনো কাজে না আসে তবে আগামী ছুটিটা কাটিয়ে আসুন অন্য কোথাও।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*