গোপাল সিং, খোয়াই, ০৭ ডিসেম্বর ৷৷ ঘটনার তিন বছর পর মারধর এবং হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ছয় জনের নয় বছরের কারাবাসের আদেশ দিল খোয়াইয়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত। ঘটনা ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় খোয়াই থানাধীন সিপাইহাওর এলাকায়। জানা যায় এলাকার জনৈক জীতেন্দ্র দের্ব্বমার নাবালিকা কন্যাকে স্কুলে যাবার পথে প্রতিনিয়ত নানান ভাবে উত্ত্যক্ত করত এলাকার কিছু বখাটে যুবক। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানায় নাবালিকার পিতা জীতেন্দ্র দের্ব্বমা। এর পরই ঐ বখাটে যুবকদের একটি দল ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় জীতেন্দ্র দের্ব্বমার বাড়িতে এসে জীতেন্দ্র দের্ব্বমা সহ পরিবারের লোকেদের লাঠি দিয়ে মারধর করতে শুরু করে। এই অবস্থা দেখে অপর ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন জীতেন্দ্র দের্ব্বমার বৃদ্ধ পিতা অর্জুন দের্ব্বমা। বখাটে যুবকরা ঐ বৃদ্ধকেও প্রচন্ডভাবে লাঠিপেটা করে এবং রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তারপর গুরুতর আহত অবস্থায় অর্জুন দের্ব্বমাকে প্রথমে নিয়ে আসা হয় খোয়াই হাসপাতালে। সেখান থেকে মুমুর্ষু অবস্থায় উনাকে স্থানান্তরিত করা হয় জিবি হাসপাতালে। ঘটনার দুই দিন পর ২১শে মার্চ, জিবি হাসপাতালে মৃত্যু হয় অর্জুন দের্ব্বমার। তার পরেই জীতেন্দ্র দের্ব্বমা ছয় যুবকের নামে খোয়াই থানায় এফআইআর করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে খোয়াই থানার এস আই অজিত দের্ব্বমা তদন্তে নেমে অভিযুক্ত ছয় যুবক স্বপন ঘাসি, লক্ষন ঘাসি, দীপু সবর, স্বরজীৎ ঘাসি, রাজেশ ঘাসি এবং কাজল ঘাসির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জসিট দাখিল করেন। ভারতীয় দন্ডবিধীর ১৪৮/১৪৯/৩০২ ধারায় তদন্তকারী অফিসার এস.আই অজিত দের্ব্বমা আদালতে চার্জসিট দাখিল করেন। তারপর থেকে এই মামলাটির শুনানি চলছিল আদালতে। বুধবার দুপুরে এই মামলাটির রায় দান করেন খোয়াইয়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত। এই মামলায় অভিযুক্ত ছয়জনকেই ভারতীয় দন্ডবিধীর ১৪৮/১৪৯/৩০২ ধারায় খোয়াইয়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঙ্কজ কুমার দত্ত নয় বছরের কারাবাসের আদেশ দেন। এই মামলায় মোট ১৪ জন স্বাক্ষ্য প্রদান করেছে আদালতে। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন অতিরিক্ত পিপি আইনজীবি শৈলেন্দ্র পাল।