রাজ্যেও যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশের ‘৪৫তম বিজয় দিবস’ পালিত

bd bd-jpg1দেবজিত চক্রবর্তী, আগরতলা, ১৬ ডিসেম্বর ।। আত্মাহুতি, আত্মোৎসর্গ আর রক্ত প্লাবনেই আসে স্বাধীনতা। ভারতের নিকটতম প্রতিবেশী বাংলাদেশে ৩০ লক্ষ মানুষের আত্মবলিদানের মধ্য দিয়ে পেয়েছে মুক্তির স্বাদ। ঐতিহাসিকদের মতে নিষ্ঠুরতা, নৃশংসতার প্রশ্নে পাক হানাদার বাহিনী বাংলাদেশে নারী, পুরুষ, শিশু, প্রবীন মানুষদের উপর যে বর্বর অত্যাচার চালায় তা বিশ্বের বুকে ঘৃন্যতম ঘটনা। পাকিস্থানের তৎকালীন শাসক কূল বাংলা ভাষাভাষি পূর্ব পাকিস্থানের মানুষদের উপর জীবনের সর্বক্ষেত্রে যে অত্যাচারের স্ট্রীম রোলার চালায় তারই পরিনতিতে ৭ কোটি মানুষের গর্জমান প্রতিবাদ রূপ নেয় স্বাধীনতার যুদ্ধে। সেই সময়ের পূর্ব পাকিস্থানের মুক্তি বাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধে অংশ নেয় মিত্র বাহিনী ভারতীয় সেনারা।
শেখ মুজিবর রহমানের বজ্রকন্ঠের স্বাধীনতার আহ্বানে উদ্বেল হয়ে উঠে সে বাংলাদেশের জনতা। দীর্ঘ নয় মাস দীর্ঘ লড়াইয়ের শেষে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে পাকবাহিনীকে ঘিরে ফেলে যৌথ বাহিনী, অবশেষে পাকিস্থানী বর্বর সেনারা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। বিজয় উল্লাসে মেতে উঠে মানুষ। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে নতুন দেশের নাম লিপিবদ্ধ হয়। ১৬ই ডিসেম্বর – বাংলাদেশের মানুষের জন্য উচ্ছাস, উন্মাদনার বিজয় দিবস।
বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধে ভারতের অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় আসীন বর্তমান সরকার কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরন করে ভারতের সেনাবাহিনীর চরম আত্মত্যাগকে ভুলে যায়নি লক্ষ লক্ষ উদ্ধাস্তুকে ঠাই দেয়ার কথা। ভারতেও বাংলাদেশের বিজয় দিবসে নানা অনুষ্ঠান পালন করা হয়। আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয় ৪৫তম বিজয় দিবস। এদিন সকালে আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*