জাতীয় ডেস্ক ৷৷ ভোটের সময় কালো টাকার প্রভাব কমাতে বেনামে রাজনৈতিক দলকে চাঁদা দেওয়ার ঊর্ধ্বসীমা ২ হাজার টাকা করার জন্য আইন পরিবর্তনের আর্জি নিয়ে কেন্দ্রের দ্বারস্থ নির্বাচন কমিশন। এদিন কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব হাসমুখ আঢ়িয়া জানান, বর্তমানে বেনামে রাজনৈতিক দলে অনুদানের ওপর কোনও প্রকারের সাংবিধানিক বা বিধিসম্মত নিষেধাজ্ঞা নেই। যদিও, এক্ষেত্রে, একটি ‘পরোক্ষ আংশিক নিযেধাজ্ঞা’ রয়েছে, কিন্তু, তা বলবৎ হয় অনুদানের পরিমাণ ২০ হাজার টাকার বেশি হলে তবেই। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ২৯সি ধারা অনুযায়ী, কোনও রাজনৈতিক দল কারও থেকে ২০ হাজার টাকার কম অনুদান বা চাঁদা নিলে, সেই ব্যক্তির পরিচয় জানানোর প্রয়োজন পড়ে না। এই মর্মে কেন্দ্রের কাছে আইন সংশোধনের সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আইন সংশোধন করে বেনামে রাজনৈতিক দলকে চাঁদা দেওয়ার ঊর্ধ্বসীমা ২ হাজার করা হোক। পাশাপাশি, কুপন কেটে সামান্য কিছু টাকা নিলেও, অনুদানকারী সম্পর্কে বিশদে তথ্য যাতে রাজনৈতিক দলগুলি রাখে, আইন মন্ত্রকের কাছে সেই আর্জিও জানিয়েছে কমিশন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে, ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের ১৩এ ধারা অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনে নথিভুক্ত সব রাজনৈতিক দলের আয়ই করমুক্ত। কেন্দ্রকে দেওয়া আর্জিতে নির্বাচন কমিশন এ-ও বলেছে, যারা ভোটে লড়ে এবং লোকসভা বা বিধানসভা ভোটে আসন জিতেছে, এমন রাজনৈতিক দলের আয়কেই শুধুমাত্র করমুক্ত করা হোক। বিভিন্ন মহলের দাবি, এর ফাঁক দিয়েই ভোটের বাজারে কালো টাকা ঢুকে পড়ে। কালো টাকার মালিকরা বেনামে রাজনৈতিক দলগুলির অ্যাকাউন্টে টাকা রাখার সুযোগ পায়। পরে, প্রয়োজন মতো ওই দলের খরচ দেখিয়ে হয় সেই টাকা তুলে নেয়, না হলে অনৈতিক সুযোগ দাবি করে। এই চক্রটাই ভাঙতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। সেই লক্ষ্যেই কেন্দ্রের কাছে আইন সংশোধনের আর্জি।