
অথচ রাজ্য সরকারের আর্থিক সহায়তায় প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে এই অত্যাধুনিক খোয়াই টাউন হলটি নির্মান বাবদ। কিন্তু জনগনের অভিমত যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রি ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রি এই নব নির্মিত টাউন হলটির নির্মান কাজ নিয়ে ভূয়শী প্রশংসা করে গেলেন তা কিসের ভিত্তিতে? বাইরের চাকচিক্য দেখেই কি এই প্রশংসা? প্রশ্ন জনগনের। অথচ নবনির্মিত খোয়াই টাউন হলটির প্রায় ৮০ ভাগ কাজই আজ প্রশ্নের মুখে। মঞ্চ থেকে শুরু করে শব্দ, আলো, কোরিডোর সহ নানাহ দিক আজ প্রশ্নের মুখে। উদ্বোধনের দিনই সাউন্ড সিস্টেম অন্যত্র থেকে ভাড়া এনে নম নম করে কাজ চালানো হয়। ৫ বছর যাবত কাজ করেও খোয়াইবাসীর জন্য ত্রুটি মুক্ত কাজ করতে পারেনি ঠিকেদার বা দপ্তর। অথচ রাজ্য সরকার ১০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে যা জনগনের টাকা। তারপরও নিম্নমানের কাজ করে যদি পার পাওয়া যায় তবে তা থেকেই অনুমান করা যায় সরকারী বিভিন্ন উন্নয়নমুলক দলান বাড়ীগুলি কিভাবে তৈরী হচ্ছে। যে যেভাবে খুশী নিম্নমানের কাজ করছে কোন বাধা নেই। জনগনের মতে, প্রশাসন যেন একটু সদ ভাবনা নিয়ে কাজগুলি পরিদর্শন করে এবং মুনাফা খুর ঠিকেদারদের কালো তালিকায় নাম নথিভুক্ত করে। তবেই এসব কাজের মান উন্নয়ন হবে। জনগন এখন তাকিয়ে ৫ বছর যাবত কাজ করা খোয়াই টাউন হলের আর কি কি ভেঙে পড়ে বা খুলে পড়ে সেদিকেই।