উদ্বোধনের দ্বিতীয় দিনই নব নির্মিত খোয়াই টাউন হলের নির্মান কাজ প্রশ্নের মুখে

khwগোপাল সিং, খোয়াই, ২৪ ডিসেম্বর ৷৷ দীর্ঘ প্রতিক্ষিত অত্যাধুনিক টাউন হলের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হল ২৩শে ডিসেম্বর। খোয়াইতে নব নির্মিত আধুনিক সর্ব সুবিধাযুক্ত টাউন হলের উদ্বোধন হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রির হাত ধরে। কিন্তু উদ্বোধনের দিন থেকেই প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনায় রাজ্যের সবচাইতে ব্যয়বহুল খোয়াই টাউন হলটির ত্রুটি-বিচ্যুতি। এর মধ্যে উদ্বোধনের দ্বিতীয় দিনই খুলে পড়ল টাউন হলের ভেতরকার প্রস্রাবাগারের দরজা। তাও আবার এই কক্ষটি প্রতিবন্ধীদের জন্য তৈরী করা। একজন প্রতিবন্ধী কি করে ভাঙা দরজা খুলে প্রাকৃতিক কাজ সম্পাদন করবে উঠছে প্রশ্ন। আরও কিছু ভেঙে বা খুলে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন জনসাধারন। খোয়াই টাউন হলের উদ্বোধনের দ্বিতীয় দিন চলছিল সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান চলাকালীনই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। দর্শকের আসন থেকেই উঠে এসে একটি অল্প বয়সি ছেলে প্রস্রাবাগারে যেতে চাইলে দরজায় হাত দিতেই সেটি খুলে পড়ে। অল্পের জন্য সে রক্ষা পায়। ভাঙা দরজাটি তার উপরও খুলে পড়তে পারতো। যেহেতু অল্প বয়সের ছেলে তাই সে বুঝে উঠতে পারেনি সেটি প্রতিবন্ধীদের ব্যবহারের জন্য। আজ যদি কোন প্রতিবন্ধী ভাই-বোন প্রস্রাবাগারটি ব্যবহার করতে যেত তবে কি হতো !
অথচ রাজ্য সরকারের আর্থিক সহায়তায় প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে এই অত্যাধুনিক খোয়াই টাউন হলটি নির্মান বাবদ। কিন্তু জনগনের অভিমত যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রি ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রি এই নব নির্মিত টাউন হলটির নির্মান কাজ নিয়ে ভূয়শী প্রশংসা করে গেলেন তা কিসের ভিত্তিতে? বাইরের চাকচিক্য দেখেই কি এই প্রশংসা? প্রশ্ন জনগনের। অথচ নবনির্মিত খোয়াই টাউন হলটির প্রায় ৮০ ভাগ কাজই আজ প্রশ্নের মুখে। মঞ্চ থেকে শুরু করে শব্দ, আলো, কোরিডোর সহ নানাহ দিক আজ প্রশ্নের মুখে। উদ্বোধনের দিনই সাউন্ড সিস্টেম অন্যত্র থেকে ভাড়া এনে নম নম করে কাজ চালানো হয়। ৫ বছর যাবত কাজ করেও খোয়াইবাসীর জন্য ত্রুটি মুক্ত কাজ করতে পারেনি ঠিকেদার বা দপ্তর। অথচ রাজ্য সরকার ১০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে যা জনগনের টাকা। তারপরও নিম্নমানের কাজ করে যদি পার পাওয়া যায় তবে তা থেকেই অনুমান করা যায় সরকারী বিভিন্ন উন্নয়নমুলক দলান বাড়ীগুলি কিভাবে তৈরী হচ্ছে। যে যেভাবে খুশী নিম্নমানের কাজ করছে কোন বাধা নেই। জনগনের মতে, প্রশাসন যেন একটু সদ ভাবনা নিয়ে কাজগুলি পরিদর্শন করে এবং মুনাফা খুর ঠিকেদারদের কালো তালিকায় নাম নথিভুক্ত করে। তবেই এসব কাজের মান উন্নয়ন হবে। জনগন এখন তাকিয়ে ৫ বছর যাবত কাজ করা খোয়াই টাউন হলের আর কি কি ভেঙে পড়ে বা খুলে পড়ে সেদিকেই।
FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*